জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বলেছেন, ‘যেখানে যখনই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দেখবেন, মিছিল দেখবেন, তখনই প্রতিবাদ করবেন এবং পুলিশের কাছে সোপর্দ করবেন। এ দেশে আর কোনোদিন আওয়ামী লীগ রাজনীতি করতে পারবে না।’
আজ শুক্রবার বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ঢাকা মহানগর আয়েজিত গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের বিচার ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
সামান্তা শারমিন বলেন, আপনাদের বুকের রক্তের ওপর দিয়ে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আমাদের দেশকে শাসন করছে। এই অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে আমরা দুইটি জিনিস চেয়েছিলাম, বিচার এবং সংস্কার। এই দুটোর বিষয়ে তাদের গড়িমসি আমাদের আহত করছে এবং আমাদের দেশে কী ধরনের সংস্কার দরকার, সেই বিষয়ে বলার অধিকার রাখে একমাত্র শহীদ ও আহতদের পরিবার এবং আহতরা। আমরা আজকে তাদের সামনে রেখে বলতে চাই, বিচার এবং সংস্কারের আগে আমরা নির্বাচন হতে দেব না।
তিনি বলেন, ২০০৮ সালে পিলখানা হত্যাকাণ্ড, ২০১৩ সালে শাপলা চত্তর হত্যাকাণ্ড, ২০১৮ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলনে দমন-পীড়ন ও নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে ছাত্রদের নিপীড়নের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার স্বৈরাচারী দখল প্রতিষ্ঠিত করেছিল। এই প্রত্যেকটি বিষয়ের বিচার আমাদের আদায় করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের কাছে শহীদের মায়েরা ও আহতরা আকুতি জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের বিচারের আগে আমরা (এনসিপি) যেন মাঠ ছেড়ে না দেই। আপনারাও আমাদের সাথে থাকবেন। এখানে যারা সংস্কারকে বিপ্লবী চেতনার বাইরে নিয়ে একটি ন্যূনতম সংস্কারের মধ্য দিয়ে আমাদের নিয়ে যেতে চায়, আমরা তাদের বলছি, আমরা যেভাবে জুলাই-আগস্টে মাঠ ছেড়ে যাইনি, আমরা মৌলিক সংস্কার আদায় না করে মাঠ থেকে চলে যাব না।
এর আগে, বিকাল ৩টায় আওয়ামী লীগের বিচার ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে এই বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেইটের সামনে ৩টি ট্রাক দিয়ে তৈরি করা হয়েছে অস্থায়ী মঞ্চ।
সমাবেশে এনসিপির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম, সদস্যসচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দীন পাটোয়ারী, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব, সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা, নাহিদা সারওয়ার নিভা, সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ, জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী (সিইও) মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল