ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন অভিবাসন নীতির কারণে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী গ্রিনকার্ডধারীরাও এখন আতঙ্কে। সম্প্রতি ফেডারেল প্রশাসনের এক পোস্টে জানানো হয়, জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি, আমেরিকানদের জীবনযাত্রার সঙ্গে সাংঘর্ষিক বা রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত মনে হলে গ্রিনকার্ডধারীকেও বহিষ্কার করা হবে।
ইউএসসিআইএস (মার্কিন নাগরিকত্ব ও অভিবাসন বিভাগ) জানায়, অভিবাসীরা দেশে অতিথি হিসেবে অবস্থান করছেন—তাদের সতর্ক থাকা উচিত। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনলাইন মনিটরিং চলছে এবং যাদের নিরাপত্তা ঝুঁকিপূর্ণ মনে হবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইতিমধ্যে অবৈধ অভিবাসীসহ বহু গ্রিনকার্ডধারীকেও যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানানো হয়। যদিও বিষয়টি ফেডারেল আদালতে আইনি লড়াইয়ের মধ্যে রয়েছে।
খ্যাতনামা ইমিগ্রেশন অ্যাটর্নি মইন চৌধুরী বলেন, গ্রিনকার্ডধারীদের ‘রি-এন্ট্রি পারমিট’ সংগ্রহ করে বিদেশ যাওয়া উচিত, যাতে জটিলতা না হয়। অনেকেই যুক্তরাষ্ট্রে ফিরতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েছেন এবং ঘনঘন বিদেশ ভ্রমণের কারণে সতর্কবার্তা পেয়েছেন।
অন্যদিকে, অ্যাটর্নি জান্নাতুল রুমা জানান, ট্রাম্প প্রশাসন জাতীয় নিরাপত্তাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে অভিবাসী বিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ঘনঘন ভ্রমণকারীরা সীমান্তে জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীন হচ্ছেন, যা আগে তেমন দেখা যেত না।
গ্রিনকার্ডধারীদের সতর্ক থাকা এবং জরুরি প্রয়োজন ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছেন অভিবাসন আইনজীবীরা।
বিডি প্রতিদিন/আশিক