ফেব্রুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে উত্তপ্ত বিতর্কের পর প্রথমবারের মতো ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির বৈঠক করেছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স।
কিয়েভে রাশিয়া ‘রেকর্ড’ সংখ্যক ড্রোন হামলা চালানোর পর রবিবার (১৮ মে) ভ্যাটিকানে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে তারা এ বৈঠক করেন।
তুরস্কে তিন বছরেরও বেশি সময় পর ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে প্রথম সরাসরি আলোচনার দুই দিন পর এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো। তুরস্কের আলোচনায় বন্দি বিনিময়ে সম্মতি জানানো হয়েছিল। তবে যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করার বিষয়ে কোনো প্রকার অগ্রগতি হয়নি।
ভ্যাটিকানে পোপ লিওর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের পর ভ্যাটিকানে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে ভ্যান্সের সঙ্গে বৈঠকের পর জেলেনস্কি টেলিগ্রামে লিখেছেন, ‘আমরা ইস্তাম্বুলের বৈঠক নিয়ে আলোচনা করেছি, যেখানে রাশিয়ানরা একটি নিম্ন-স্তরের প্রতিনিধিদল পাঠায়, যাদের কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা ছিল না।’
জেলেনস্কি আরও বলেন, ‘আমরা রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার প্রয়োজনীয়তা, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যতে বন্দিদের বিনিময়ের বিষয়েও আলোচনা করেছি।’
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং জেলেনস্কির সহযোগী আন্দ্রি ইয়েরমাকও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। উভয় পক্ষ ইউক্রেনে ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী শান্তির দিকে অগ্রসর হওয়ার পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেন।
ভ্যান্স ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি উরসুলা ভন্ডার লিয়েন এবং ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সাথেও বৈঠক করেছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা এএফপিকে বলেছেন, জেলেনস্কি ও ভ্যান্স সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে টেলিফোনে কথোপকথনের প্রস্তুতি নিয়েও আলোচনা করেছেন।
ট্রাম্প শনিবার তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ইউক্রেনে ‘রক্তস্নান’ বন্ধ করার জন্য তিনি সোমবার পুতিনের সাথে ফোনে কথা বলবেন।
জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ মের্ৎস বলেছেন, পুতিনের সাথে সেই ফোনালাপের আগে ব্রিটেন, জার্মানি এবং ফ্রান্সের নেতারাও ট্রাম্পের সাথে কথা বলতে চান।
যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইউক্রেনের উপর চাপ বাড়িয়েছেন এবং এখনও পর্যন্ত পুতিনের সমালোচনা করা থেকে বিরত রয়েছেন।
সূত্র : এএফপি।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত