দক্ষিণ চীন সাগরে শক্তি সঞ্চয় করে ধেয়ে আসছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় কাজিকি। এর প্রভাবে ভিয়েতনাম ও চীনের উপকূলীয় অঞ্চলে শুরু হয়েছে প্রবল বাতাস ও বৃষ্টিপাত। দুই দেশেই নিরাপত্তার স্বার্থে লাখ লাখ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ফ্লাইট, নৌযান চলাচল ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট।
ভিয়েতনামের জাতীয় আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রবিবার সকালে ঘূর্ণিঝড়টি দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় উপকূল থেকে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল। বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় প্রায় ১৪৯ কিলোমিটার। আজ সোমবার উপকূলে আছড়ে পড়ার সময় এর গতি বেড়ে ঘণ্টায় ১৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।
ভিয়েতনামের থান হোয়া, কোয়াং ত্রি, হুয়ে ও দা নাং প্রদেশ থেকে অন্তত ৫ লাখ ৮৬ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ভিয়েতনাম এয়ারলাইনস রোববার ও সোমবার ২২টি ফ্লাইট বাতিল করেছে, আর ভিয়েতজেট অ্যাভিয়েশন কয়েকটি ফ্লাইট স্থগিত করেছে। প্রায় ৬০ হাজার নৌকা ও ২ লাখ ৪৯ হাজার জেলেকে সতর্ক করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ফাম মিন চিন জরুরি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
চীনের হাইনান দ্বীপে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব শুরু হয়েছে। পর্যটন নগরী সানিয়ায় শপিং সেন্টার, রেস্তোরাঁ ও গণপরিবহন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রাজধানী হাইকোতে তিনটি বন্দর বন্ধ করা হয়েছে। চীনের জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্র জানিয়েছে, হাইনানে বৃষ্টিপাত ৪০০ মিলিমিটার পর্যন্ত হতে পারে।
এদিকে থাইল্যান্ডও সতর্ক অবস্থায় আছে। ২৪ থেকে ২৭ আগস্ট পর্যন্ত দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভারী বর্ষণ, আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসের ঝুঁকি রয়েছে। আন্দামান সাগর ও থাইল্যান্ড উপসাগরে ঢেউয়ের উচ্চতা ৩ মিটার ছাড়াতে পারে।
এ বছর দক্ষিণ চীন সাগরে এটি পঞ্চম ট্রপিক্যাল স্টর্ম। ভিয়েতনাম সরকার জানিয়েছে, কাজিকি গত বছরের টাইফুন ইয়াগির মতো ভয়াবহ হতে পারে, যে ঝড়ে প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু এবং ৩৩ কোটি ডলারের ক্ষতি হয়েছিল।
বিডি প্রতিদিন/আশিক