অবশেষে খোঁজ মিলল নেপালের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলির। তিনি এখনো নেপালেই রয়েছেন। সামরিক বাহিনীর সুরক্ষায় শিবপুরী এলাকায় রয়েছেন অলি।
বুধবার নেপালি সংবাদমাধ্যম ‘খবরহাব’-র প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শিবপুরী এলাকা থেকে জেন জি বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে এক লিখিত বার্তায় অলি নিজের ব্যক্তিগত শোক, সংগ্রাম ও শাসনব্যবস্থার অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করেছেন।
পুলিশের গুলিতে নিহত তরুণদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, রাষ্ট্রের নিপীড়নের কারণে তিনি সন্তানহীন হয়ে পড়লেও বাবা হওয়ার ইচ্ছা তার ভেতরে আজও জীবিত।
১৯৯৪ সালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকার অভিজ্ঞতা স্মরণ করে কে পি শর্মা অলি বলেন, তার আমলে কোনো গুলি ছোড়া হয়নি। শান্তির পক্ষে নিজের আজীবন অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে অভিযোগ করেন, তরুণদের ব্যবহার করে বর্তমান বিক্ষোভকে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে পরিণত করা হচ্ছে।
তার ভাষায়, গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দপ্তরে অগ্নিসংযোগ ও ধ্বংসযজ্ঞ হঠাৎ ঘটে যায়নি; তোমাদের নিষ্পাপ মুখগুলোকে ভ্রান্ত রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করার চেষ্টা চলছে।
অলি আবারও দৃঢ়ভাবে নেপালের দাবিকৃত লিপুলেখ, কালাপানি ও লিম্পিয়াধুরার প্রসঙ্গ তোলেন এবং বলেন, নাগরিকদের কথা বলার, চলাফেরার ও প্রশ্ন করার স্বাধীনতা নিশ্চিত করা—এটাই তার জীবনের উদ্দেশ্য।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ ও রাজনৈতিক সংস্কারের দাবির পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে গত সোমবার থেকে বিক্ষোভ করেন নেপালের কয়েক হাজার মানুষ।
বিক্ষোভকারীদের বেশির ভাগই তরুণ বা জেন-জি প্রজন্মের। রাজধানী কাঠমান্ডুসহ অন্তত সাতটি শহরে এদিন ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। ওই বিক্ষোভে ১৯ জনের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত হন চার শতাধিক বিক্ষোভকারী। শেষমেষ মঙ্গলবার পদত্যাগে বাধ্য হন প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি। এরপর সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার তাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়।
বিডি প্রতিদিন/নাজিম