সোমবার, ১৩ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

অস্বস্তিতে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল

ইরান-সৌদি সমঝোতা

বৈরী সম্পর্কের দুটি প্রতিবেশী দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ যখন শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের সম্ভাবনা দেখা যায়, তখন আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে সেটিকে স্বাগত জানানোই রেওয়াজ। গত শুক্রবার ইরান ও সৌদি আরব যখন সাত বছর পর তাদের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে রাজি হলো, তখন বাকি বিশ্ব সেটাই করেছে। জাতিসংঘ মহাসচিব থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেশের নেতারা বিবৃতি দিয়ে এ সমঝোতাকে স্বাগত জানিয়েছেন। শুধু ব্যতিক্রম ছিল দুটি দেশের প্রতিক্রিয়া: যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল।

মধ্যপ্রাচ্যে ইরান-সৌদি দ্বন্দ্বের সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী হিসেবে দেখা হয় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলকে। মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে দশকের পর দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে তার ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ বজায় রেখেছে, তাতে ইরান-সৌদি দ্বন্দ্ব ব্যাপকভাবে সহায়ক হয়েছে। অন্যদিকে ইসরায়েলও এ দ্বন্দ্বের সুযোগ নিয়ে ‘শত্রুর শত্রু আমাদের মিত্র’ নীতি অনুসরণ করে ইরানের বৈরী কিছু উপসাগরীয় দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলেছে।

স্বাভাবিকভাবেই ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হলে এবং ভবিষ্যতে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম দুটি মুসলিম দেশ আরও ঘনিষ্ঠ হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হলে সেটি উপসাগরীয় অঞ্চলের ভূ-রাজনৈতিক সম্পর্কে নতুন বিন্যাস তৈরি করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল উভয়েই মনে করে, এ নতুন পরিস্থিতি কোনোভাবেই তাদের স্বার্থের অনুকূলে যাবে না।

সর্বশেষ খবর