রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি আলোচনার মধ্যেই ইউক্রেনে বড় হামলা চালাল রাশিয়া। শুধু তাই নয়, রাশিয়া ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের আরও অংশ দখলের চেষ্টা করছে। রাশিয়ার বড় ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা প্রতিহত করতে গিয়ে শনিবার রাতে ইউক্রেনের একটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে ওই বিমানের পাইলট নিহত হয়েছেন। গতকাল ইউক্রেনের সেনাবাহিনী এ কথা জানিয়েছে।
ইউক্রেনের সেনাবাহিনী বলেছে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এটি দেশটির তৃতীয় এফ-১৬ যুদ্ধবিমান হারানোর ঘটনা। বার্তা প্রদানের অ্যাপ টেলিগ্রামে এক পোস্টে ইউক্রেনের বিমানবাহিনী বলেছে, পাইলট তার যুদ্ধবিমানে থাকা সব অস্ত্র ব্যবহার করে সাতটি বিমান হামলা প্রতিহত করেছেন। শেষটি ঠেকাতে গিয়ে তার বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং নিচে নেমে যেতে থাকে। বিমানটি যেন লোকালয়ে না পড়ে তা নিশ্চিত করতে পাইলট সেটিকে একটি জনবসতি এলাকা থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যান। কিন্তু তিনি যুদ্ধবিমান থেকে বের হওয়ার সময় পাননি। এদিকে সিএনএন জানিয়েছে, রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে প্রত্যাশিত শান্তি আলোচনা ভেস্তে গেছে। কারণ রাশিয়া রবিবার ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের আরও অংশ দখলের চেষ্টা করেছে। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন বলেছেন তিনি রুশ এবং ইউক্রেনীয়কে একই জনগণ বলে মনে করেন। ইউক্রেনের বিমানবাহিনীর মতে, ৪৭৭টি ড্রোন হামলা করা হয়েছে। একই সঙ্গে ৬০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে রুশ সেনা। তার মধ্যে ২৪৯টি ড্রোনকে গুলি করে নামানো হয়েছে। এ ছাড়া ২০০-এর বেশি ড্রোনকে ‘ইলেকট্রনিক জ্যামিং’-এর মাধ্যমে নিষ্ক্রিয় করেছে ইউক্রেন বাহিনী। ইউক্রেনের বিমানবাহিনীর তরফে ইউরি ইহনাথ এপির কাছে দাবি করেছেন, এটি ছিল সবচেয়ে বড় বিমান হামলা। ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর বিবৃতির কথা উল্লেখ করে রয়টার্স জানিয়েছে, রুশ হামলা অনেকটা প্রতিহত করা হয়েছে। এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের পাইলট রুশ সেনার অন্তত সাতটি বিমান গুলি করে নামিয়েছেন।-এএফপি
তবে শেষটিতে হামলা চালানোর সময় ক্ষতিগ্রস্ত হয় তার এফ-১৬ বিমানটি। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিচে পড়ে যায়। মৃত্যু হয় পাইলটের।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালেই ইউক্রেন প্রথম এফ-১৬ যুদ্ধবিমান হাতে পায়। নেদারল্যান্ডস এবং ডেনমার্ক থেকে যুদ্ধবিমান দুটি আসে। তার মধ্যেই একটি ধ্বংস হয়েছে।