ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকাকে মৃত্যুপুরী বানিয়ে ছেড়েছে ইসরায়েল। প্রতিদিন সেখানে শত শত মানুষকে হত্যা করছে। যেখানে মানবাধিকারের লেশ মাত্রও নেই। ইসরায়েলের অমানবিক এই হামলার মধ্যেই দেশটির কাছে আরও ২ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যার মধ্যে আছে জঙ্গিবিমান ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জামও।
মার্কিন প্রতিরক্ষাদপ্তর পেন্টাগন জানিয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন অস্ত্র বিক্রির এই অনুমোদন দিয়েছেন। এর আওতায় আছে ১ হাজার ৯০০ কোটি ডলারের এফ-১৫ জঙ্গিবিমান ও অন্যান্য সরঞ্জাম, ৭৭ কোটি ৪০ লাখ ডলারের ট্যাঙ্ক কার্তুজ, ৬ কোটি ডলারের বেশি বিস্ফোরক মর্টার কার্তুজ এবং ৫৮ কোটি ৩০ লাখ ডলারের সাঁজোয়া যান। তবে পেন্টাগন বলছে, এসব অস্ত্র ও সরঞ্জাম সরবরাহ করতে সময় লাগবে। এফ-১৫ জঙ্গিবিমানগুলো তৈরি করতে বোয়িং কোম্পানির কয়েক বছর লাগবে। এরপর ২০২৯ সাল থেকে সেগুলো সরবরাহ শুরু হবে বলে আশা করা যায়। অন্য সরঞ্জাম ২০২৬ সাল থেকে সরবরাহ করা শুরু হতে পারে। যদিও এই প্রক্রিয়া সংশ্লিষ্ট এক বিশেষজ্ঞ বলেছেন, কিছু সরঞ্জাম ২০২৬ সালের আগেও সরবরাহ করা শুরু হতে পারে।
ইসরায়েলের সবচেয়ে শক্তিশালী মিত্র এবং বৃহত্তম অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্র। গত বছর অক্টোবরে গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলকে মারাত্মক বিধ্বংসী ২০০০ পাউন্ডের ১০ হাজারের বেশি বোমা এবং হাজার হাজার হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র। এক মার্কিন কর্মকর্তা জুনে রয়টার্সকে একথা জানান।