দুই দেশের মধ্যে চলমান পারমাণবিক আলোচনার মাঝেই যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তেহরান ওয়াশিংটনের পরস্পরবিরোধী অবস্থানের নিন্দা জানিয়েছে। সোমবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর তিন ইরানি নাগরিক এবং ফুয়া পার্স প্রসপেক্টিভ টেকনোলজিস্ট নামে একটি কোম্পানিকে নিষিদ্ধ করেছে। ওয়াশিংটনের দাবি, এ কোম্পানি ও ব্যক্তিরা পারমাণবিক অস্ত্রের ক্ষেত্রে গবেষণা ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল। আমেরিকান কর্মকর্তাদের মতে নিষেধাজ্ঞাগুলো লক্ষ্যবস্তু ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের যুক্তরাষ্ট্রে থাকা যেকোনো সম্পদ জব্দ করা হবে। তাদের সঙ্গে ব্যবসায়িক লেনদেনও নিষিদ্ধ। ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির বিষয়ে একটি নতুন চুক্তি স্বাক্ষর এবং তেহরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা অপসারণের লক্ষ্যে ইরান এবং যুক্তরাষ্ট্রের চতুর্থ দফার পরোক্ষ আলোচনার একদিন পর নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। -প্রেস টিভি
উভয় পক্ষ নীতিগতভাবে ওমানের মধ্যস্থতায় আলোচনা চালিয়ে যেতে সম্মত হয়েছে। ইরানের রাজনৈতিকবিষয়ক উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাজিদ তখত-রাভানচি বলেছেন, পরবর্তী দফার আলোচনার সময় এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। আলোচনায় ইরানের কারিগরি দলের সদস্য তখত-রাভানচি মার্কিন সরকারের পরস্পরবিরোধী আচরণের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, আমেরিকান কর্মকর্তাদের হুমকিমূলক এবং অ-হুমকিমূলক বক্তব্য আস্থা তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে। এর পরিবর্তে ওয়াশিংটনের অবস্থানের ওপর সন্দেহ প্রকাশ করেছে।