বিদেশি পাখির স্লোগান— জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। মুজিবকোট পরা লোকের উপস্থিতি টের পেলেই পাখিটি এ স্লোগান দেয়। আরও বলতে পারে ‘গুড মনিং’। বিদেশি এ পাখির নাম ইলেকটাস প্যারট। পাখির কণ্ঠে এমন শব্দ শুনতে প্রতিদিন শ শ লোক সেখানে ছুটে যাচ্ছেন। পাখিটি রাজধানীর ২২/২ হাতিরপুল ফিকামলি পাখি চিড়িয়াখানায় রয়েছে। এ চিড়িয়াখানাটি একটি বহুতল ভবনে প্রাকৃতিক পরিবেশ সৃষ্টি করে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বেসরকারিভাবে গড়ে তোলা বিদেশি পাখির এমন ধরনের চিড়িয়াখানা এটিই বাংলাদেশে প্রথম। বাহারি রঙের পাখি চিড়িয়াখানাটি নির্মাণ করেছেন বাঘ ও পাখি বিশেষজ্ঞ ড. আবদুল ওয়াদুদ। সম্পূর্ণ ব্যক্তি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত এ চিড়িয়াখানায় স্থান পেয়েছে আরও কয়েকশ দুর্লভ ও মনমাতানো পাখি। জয় বাংলা পাখিটি উপহার দিতে চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। পাখির খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান কলাবাগান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইকবাল। তিনিও দুই দিন ধরে পাখিটির খোঁজখবর নিচ্ছেন। এ চিড়িয়াখানায় আরও রয়েছে দুর্লভ ও বিপন্ন প্রজাতির ব্লু গোল্ড ম্যাকাও, লাভ বার্ড, গোল্ডেন রোজেলা, পাবলার, রেড রোজেলা, পিন্যান্ট, কাইফ, গ্রেটিয়া, ইয়েলো টিয়া, ব্লু টিয়া, রেইন বোলরি, কাকারাকি, পোর্ট লিঙ্কন, ফেরারি রোজেলা, বুরকিস প্যারট, সিলভার ফিজেন্ট ও লেডি আমহাস্ট। ইলেকটাস প্যারটের কাজকর্ম চমক লাগানো। সুদূর অস্ট্রেলিয়া, মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকা এবং আমাজনের বনাঞ্চলে এসব পাখির বসবাস। বিদেশি এ পাখির আন্তর্জাতিক বাজার মূল্য কয়েক লাখ টাকা। এ চিড়িয়াখানায় বিভিন্ন প্রজাতির পাখির জন্য বিভিন্ন ধরনের নিরাপদ আবাস গড়ে তোলা হয়েছে। এ পাখির দৈহিক গড়ন যেমন সুন্দর, তেমন আকর্ষণীয়। এর মধ্যে ইলেকটাস প্যারটের মতো বিরল ও দুর্লভ পাখি গোটা উপমহাদেশে আছে হাতে গোনা কয়েকশ। বাংলাদেশে আছে এমন প্রজাতির মাত্র ১০-১১ জোড়া। এ চিড়িয়াখানায় রয়েছে মাত্র ১ জোড়া। এ পাখির বংশ রক্ষায় বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী কয়েকটি দেশ পদক্ষেপ নিয়েছে। জানতে চাইলে বাংলাদেশ ওয়াইল্ড লাইফ কনজারভেশন অ্যান্ড হিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ড. আবদুল ওয়াদুদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ২০১২ সাল থেকে এ পাখিসহ পাঁচ শতাধিক পাখি রয়েছে তার সংগ্রহে। গতকাল সরেজমিন মিনি এ পাখি চিড়িয়াখানা ঘুরে জানা গেছে এসব তথ্য। দুর্লভ প্রজাতির এ পাখি পোষা ব্যয়বহুল। পরিচর্যায় একটু ব্যতিক্রম বা অবহেলা হলেই মৃত্যুঝুঁকিতে পড়ে এরা। টাকার অঙ্কে একটি পাখির মৃত্যুর ধকল অনেক বেশি হলেও আরেক জোড়া সংগ্রহ করা আরও কঠিন। সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, এ পাখি আদর করলে পোষ মানে। উপযুক্ত প্রশিক্ষণ পেলে বাংলায় কথা বলতে পারে। এ পাখি ছয় মাস পর ২-৩টি ডিম পাড়ে। আর কথা বলে সকাল ও বিকালে। তবে মুজিবকোট পরা কারও উপস্থিতি টের পেলে বলতে শুরু করে জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। এ পাখির প্রধান খাদ্য তালিকায় রয়েছে চীনাবাদাম, ভুট্টা, সূর্যমুখী ফুলের বীজ, শসা, কলা, আপেল, গাজর, বরবটি, পেঁপে ও আঙ্গুর। গভীর জঙ্গলে বড় গাছের কোটরে বাসা বাঁধে এ পাখি। এদের গড় আয়ু ৪০ বছর।
শিরোনাম
- কয়েক মাসের মধ্যেই সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম উৎপাদন শুরু করতে পারে ইরান: আইএইএ
- আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে চেয়েছিলেন আমির
- লেবাননে ইসরায়েলি ড্রোন হামলা, নিহত ৩
- নারীকে ধর্ষণ-ভিডিও ধারণ, প্রধান আসামিসহ গ্রেফতার ৫
- জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থার প্রধানকে আর ঢুকতে না দেওয়ার ঘোষণা ইরানের
- ১৬ মাস পর কিউই শিবিরে মিলনে
- গাজায় অপুষ্টিতে অন্তত ৬৬ শিশুর মৃত্যু
- চাকরি টেকাতে পারলেন না নিস্টলরয়
- ৩২ মাস পর নতুন গান নিয়ে ফিরতে প্রস্তুত ‘ব্ল্যাকপিংক’
- গাজায় আবারও ইসরায়েলি হামলা, নিহত অন্তত ৬২
- সিগন্যাল অমান্য করে রেললাইনে অটোরিকশা, ট্রেনের ধাক্কায় মা-ছেলের মৃত্যু
- মিডিয়াই আমাকে ‘পিয়া জান্নাতুল’ বানিয়েছে, ছেড়ে যেতে চাই না
- সেই আনিসা আজ এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবেন
- গাজায় ত্রাণের আটায় মাদক!
- পোড়া গন্ধে মাঝ আকাশ থেকে ফিরে এলো এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট
- প্রতিহতের ঘোষণা উপেক্ষা করে রুমিন ফারহানার জনসভা, মানুষের ঢ্ল
- ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া ও করোনা মোকাবেলায় তিন মাসব্যাপী অভিযান চালাবে চসিক: মেয়র
- বৌলতলী সেতু বদলে দিয়েছে ২০ গ্রামের ভাগ্য
- সুষ্ঠু নির্বাচনই সরকারের প্রধান লক্ষ্য: পরিকল্পনা উপদেষ্টা
- জানুয়ারিতে জাবির ৭ম সমার্তন হবে: উপাচার্য
প্রকৃতি
বিদেশি পাখির মুখে জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু
মোস্তফা কাজল
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর