বুধবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা
প্রকৃতি

পাখির অভয়াশ্রম শার্শার পদ্মবিল

বেনাপোল প্রতিনিধি

পাখির অভয়াশ্রম শার্শার পদ্মবিল

মৌসুমি বায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে হাড় কাঁপানো শীতে বিভিন্ন প্রজাতির দেশি-বিদেশি অতিথি পাখির আগমনে মুখরিত ও অভয়াশ্রমে পরিণত হয়েছে শার্শার পদ্মবিল। পঞ্চাশ গজ দূরেই ওপারে ভারতের কাঁটাতারের বেড়া, পাশেই সবুজ বেষ্টনীতে ঘেরা যশোরের শার্শা উপজেলার লক্ষণপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রাম। এই গ্রামেই প্রায় ৭০ বিঘা জমির জলাশয় নিয়ে পদ্মবিল। পদ্মবিলে হরেক রকম পাখির অভয়ারণ্য গড়ে ওঠেছে। নিরিবিলি মনোরম পরিবেশে গড়ে ওঠা অভয়াশ্রমে পাখির কলতানে মুখরিত গোটা এলাকা। জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন শত শত পাখিপ্রেমী ও নারী শিশুসহ সাধারণ দর্শনার্থীরা ভিড় করছে পদ্মবিলে। উপভোগ করছেন প্রাকৃতিক দৃশ্য। নিরাপদ ও এলাকাবাসীর কড়া নজরদারি থাকায় সবুজ বেষ্টনী ঘেরা জলাশয়ে পাখির অভয়ারণ্য গড়ে উঠেছে বলে জানান স্থানীয়রা। দর্শনার্থী আবদুল জব্বার ও আলী হোসেন বলেন, সরাইল, পানকৌড়ি, ডংকুর, বেগ ও কাসতেচুড়াসহ অসংখ্য পাখি চড়ছে জলাশয়ে। উড়ছে তারা আকাশ নীড়ে। পাখির কিচিরমিচির শব্দে মুগ্ধ হচ্ছে মানুষ। দেশি ও বিদেশি জাতের ঝাঁকে ঝাঁকে আসছে অতিথি পাখি। দেখছে সবাই প্রাণভরে, মন জুড়াচ্ছে ঘুরে ফিরে। গ্রাম ও শহর থেকে আসছে মানুষ অতিথি পাখির অভয়াশ্রমে। প্রকৃতির দৃশ্য ও পাখির আওয়াজ দেখছে তারা প্রাণ খুলে। এ অভয়াশ্রমে এসে পুলকিত তারা। দুর্গাপুর গ্রামের মনির হোসেন ও মোহম্মাদ আলী বলেন, নাজুক যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে দর্শনার্থীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বেশ। উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ যদি খোঁজখবর নিত তাহলে আরও বেশি পাখি এখানে আসত। তারা উপজেলা প্রাণিসম্পদ ও বন বিভাগের সহযোগিতা কামনা করেন। লক্ষণপুর ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারা বেগম জানান, পাখির এ অভয়াশ্রম রক্ষায় গ্রামবাসী কাজ করছেন দীর্ঘদিন ধরে। যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ থাকায় বিষয়টি সুরাহের জন্য উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। শার্শা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জয়দেব কুমার সিংহ বলেন, সন্ধ্যায় আসে হাজার হাজার পাখি। সকালে খাদ্যের সন্ধানে ফিরে যায়। তবে উপজেলায় অনেকস্থানে পাখি শিকারিরা ফাঁদ ও এয়ারগান দিয়ে পাখি শিকার করছেন। এসব পাখি শিকারিদের কঠোর নজরদারিতে রাখা হচ্ছে। পরিবেশে যেন বিরূপ প্রভাব না পড়ে তার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। পদ্মবিলসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পাখি সংরক্ষণে কাজ করে যাচ্ছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ।

সর্বশেষ খবর