শনিবার, ২৮ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

উপচে পড়া ভিড় পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্রে

খোলার দিনই জমজমাট চিড়িয়াখানা

নিজস্ব প্রতিবেদক

উপচে পড়া ভিড় পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্রে

করোনা মহামারীর কারণে সাড়ে চার মাস বন্ধ থাকার পর গতকাল সরকারি নির্দেশনায় খুলে দেওয়া হয়েছে জাতীয় চিড়িয়াখানা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চিড়িয়াখানায় বেড়েছে দর্শনার্থীর ভিড়। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানায় এমন দৃশ্য দেখা যায়। দেশের বিভিন্ন স্থানে পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্রেও দর্শনার্থীর উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। 

গতকাল সকালে জাতীয় চিড়িয়াখানার গেটে গিয়ে দেখা যায় অনেক দর্শনার্থী প্রবেশপথে অপেক্ষা করছেন। অনেকে এসেছেন সন্তানদের নিয়ে ঘুরতে। নগরবাসীর অন্যতম বিনোদন কেন্দ্রটি  খোলার দিনই জমজমাট হয়ে ওঠে। টিকিট কাউন্টার এবং প্রবেশপথে লম্বা লাইন দেখা যায় দুপুরেও। মেয়েকে নিয়ে চিড়িয়াখানায় ঘুরতে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী সাদিয়া ইসলাম। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন পর এটি খুলেছে, তাই সরকারি ছুটির দিনে বাচ্চাকে ঘুরতে নিয়ে এসেছি। চিড়িয়াখানার প্রবেশপথে টিকিট চেক করছিলেন মোহাম্মদ খোকন। তিনি বলেন, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দর্শনার্থী বেড়েছে। অনেকদূর থেকেও মানুষ আসছেন। বেলা ১১টার পর থেকে টিকিট বিক্রি বেড়েছে। প্রবেশের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি পালন করা হচ্ছে।

কক্সবাজার : জেলা প্রতিনিধি জানান, কক্সবাজারে আনাগোনা বেড়েছে ভ্রমণপিপাসুদের। এর মধ্য দিয়ে স্বরূপে ফিরতে শুরু করেছে পর্যটন রাজধানীখ্যাত কক্সবাজার। পর্যটন খাত খুলে দেওয়ার প্রথম দিন থেকে বৈরী আবহাওয়ার কারণে পর্যটক কম এলেও এখন পর্যটকের সংখ্যা বেড়েছে। বিশেষ করে আশুরার বন্ধ ও সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বিপুল পর্যটক এসেছে কক্সবাজারে। গতকাল সরেজমিন দেখা গেছে, সমুদ্রসৈকতের লাবণী, কলাতলী ও সুগন্ধা পয়েন্টে হাজার হাজার পর্যটকের সমাগম। পর্যটকরা বালিয়াড়িসহ সাগরের লোনা পানিতে আনন্দে মেতেছেন। পরিবার-পরিজন নিয়ে এসেছেন অনেকে। কক্সবাজারের হোটেল, কটেজ ও রেস্টুরেন্টসহ পর্যটন এলাকার বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে মানুষের ভিড় বেড়েছে। সমুদ্রসৈকতের পাশাপাশি হিমছড়ি, ইনানী, বার্মিজ মার্কেট, ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক, রূপসী গোয়ালিয়াসহ অন্য স্পটগুলোতেও পর্যটক আসছে। তবে বৈরী আবহাওয়ায় সেন্টমার্টিন যাওয়ার কোনো তোড়জোড় নেই।

অক্টোবর মাসের শেষের দিকে সব ঠিকঠাক থাকলে সেন্টমার্টিনে জাহাজ চলাচল ও পর্যটন ব্যবসা শুরু হবে। ভ্রমণপিপাসুরা বলছেন, করোনার অস্বস্তি থেকে মুক্তি পেতে কক্সবাজারে ছুটে আসা।

রাঙামাটি : জেলা প্রতিনিধি জানান, ১৯ আগস্ট পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেওয়ার পর প্রতিদিন আসছে দুই থেকে তিন হাজারের অধিক পর্যটক। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় গতকাল তিন পার্বত্য জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলো দর্শনার্থীর উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। তাই শুধু রাঙামাটি নয়, এমন পর্যটক উৎসবে মেতেছে অপর দুই পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানও। শহরের আবাসিক হোটেল, মোটেল, সরকারি রেস্ট হাউসগুলোতেও ছিল ভিড়।

কুয়াকাটা : গতকাল দুপুরের পর থেকে পটুয়াখালীর পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার সৈকতে পর্যটকদের ভিড় বাড়তে থাকে। হোটেল-মোটেল, রিসোর্টসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা ফিরে পেয়েছেন প্রাণচাঞ্চল্য।

আগত পর্যটকদের শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মানাতে ট্যুরিস্ট পুলিশ ও থানা পুলিশসহ মাঠে ভ্রাম্যমাণ আদালতের টিম কাজ করছে বলে জানিয়েছে কলাপাড়া উপজেলা প্রশাসন।

শ্রীমঙ্গল : প্রতিনিধি জানান, মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের পর্যটন কেন্দ্রগুলো পর্যটকদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে। গতকাল লাউয়াছড়া, বধ্যভূমি ৭১ ও বিভিন্ন চা বাগান ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র। পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে এসেছে শিশু-কিশোররাও। তারা ঘুরে ঘুরে দেখছে শ্রীমঙ্গলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর