কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে এবার মিলেছে ১৬ বস্তায় ৩ কোটি ৬০ লাখ ২৭ হাজার ৪১৫ টাকা। গতকাল দিনব্যাপী গণনা শেষে এ তথ্য পাওয়া গেছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. গোলাম মোস্তফা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নগদ টাকা ছাড়াও স্বর্ণালংকার ও বিভিন্ন দেশের মুদ্রা পাওয়া গেছে।
এবার তিন মাস ২০ দিন পর খোলা হলো পাগলা মসজিদের দানবাক্স। গতকাল সকাল ৯টা থেকে গণনা শুরু হয়ে চলে বিকাল সোয়া ৬ টা পর্যন্ত। গণনায় অংশ নেন ১৯৬ জন কর্মী। তাদের মধ্যে পাগলা মসজিদ পরিচালিত নূরুল কোরআন হাফিজিয়া মাদরাসার ১১২ জন ছাত্র, পাগলা মসজিদ-মাদরাসার ৩৪ জন কর্মচারী ও রূপালী ব্যাংকের ৫০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী। প্রথমে ৮টি সিন্দুকের টাকা ১৬টি বড় বস্তায় ভরা হয়। পরে মসজিদের দ্বিতীয় তলার মেঝেতে রেখে গণনা শুরু হয়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. গোলাম মোস্তফার তত্বাবধানে দানবাক্সগুলো খোলা হয়। পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটি ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা গণনা তদারকি করেন। এর আগে ১২ মার্চ দানবাক্স খোলা হয়েছিল। তখন তিন কোটি ৭৮ লাখ ৫৩ হাজার ২৯৫ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার পাওয়া গিয়েছিল। গতবারের তুলনায় এবার ১৮ লাখ ২২ হাজার ৮৮০ টাকা কম পাওয়া গেছে।
