দুই দিনে চারবার ভূমিকম্পের পর এবার বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি দুর্বল নিম্নচাপ তীব্রতর হয়ে ‘সুস্পষ্ট নিম্নচাপ অঞ্চলে’ রূপ নিয়েছে, যা আজ সোমবার আরও শক্তিশালী হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।
গতকাল বিকালে কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, সবশেষ আবহাওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী ২৬-২৭ নভেম্বর দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে (আন্দামান ও নিকবার দ্বীপের দক্ষিণ পাশে) একটি লঘুচাপ সৃষ্টির আশঙ্কা করা যাচ্ছে। এ লঘুচাপটি পর্যায়ক্রমে নিম্নচাপ, গভীর নিম্নচাপ ও সবশেষে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার প্রবল আশঙ্কা করা যাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টি হতে যাচ্ছে- এ বিষয়ে সব আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল একমত হলেও সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি কেমন পরিমাণে শক্তিশালী হবে ও কোন স্থানের ওপর দিয়ে স্থলভাগে আঘাত করবে, এ বিষয়ে বিভিন্ন দেশের আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল ভিন্ন-ভিন্ন পূর্বাভাস দিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্য থেকে শুরু করে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম উপকূলের মধ্যবর্তী যে কোনো স্থানের ওপর দিয়ে উপকূলে আঘাত করার আশঙ্কা করা হচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে, ২৬ নভেম্বর অধিক নিশ্চয়তা সহকারে জানা যাবে, সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি কেমন পরিমাণ শক্তিশালী হবে ও কোন স্থানের ওপর দিয়ে স্থলভাগে আঘাত করবে। সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে ডিসেম্বর মাসের ৩ তারিখ থেকে ৫ তারিখ পর্যন্ত বাংলাদেশের ওপরে হালকা থেকে মাঝারি মানের বৃষ্টিপাতের প্রবল আশঙ্কা করা যাচ্ছে। ফলে জমিতে থাকা পাকা আমন ধান কাটা ও মাড়াই করা শেষ করার পরামর্শ দেওয়া যাচ্ছে। শীতকালীন শাক-সবজি চাষিরা সম্ভাব্য এই বৃষ্টিপাতের কথা মাথায় রেখে বীজ বোনা ও জমিতে সেচ দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রাখার জন্য পরামর্শ দেওয়া যাচ্ছে। ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়া বিরাজ করার সম্ভাবনা রয়েছে।