টানা তিন দিনের ছুটিতে কক্সবাজার ও কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে পর্যটকের ঢল নেমেছে। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
কক্সবাজার : বৃহস্পতিবার শ্রমিক দিবসসহ টানা তিন দিনের ছুটিতে কক্সবাজার সৈকতের সব কটি পয়েন্ট লোকারণ্য রয়েছে। তিল ধারণের ঠাঁই নেই বিস্তৃত বালিয়াড়িসহ সৈকতের কোথাও। সৈকতের লাবণী পয়েন্ট থেকে শুরু করে মেরিন ড্রাইভের ইনানী পাটুয়ারটেক পাথুরে সৈকত পর্যন্ত পর্যটকের ভিড় দেখা গেছে। কক্সবাজার সাগরপাড়ের হোটেল, গেস্টহাউসও এখন টইটম্বুর পর্যটকে।
হোটেল দি স্যান্ডি বিচের স্বত্বাধিকারী আবদুর রহমান বলেন, টানা ছুটি পেয়ে পর্যটকরা ছুটে এসেছেন সাগরপাড়ে। এতে খুশি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে হোটেল-রেস্তোরাঁর ব্যবসায়ীরা। কক্সবাজার আবাসিক হোটেল, মোটেল, গেস্টহাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, পর্যটক আগমনের এই হার আজ (শনিবার) পর্যন্ত বহাল থাকবে। গতকাল পর্যন্ত লক্ষাধিক পর্যটক এসেছেন।
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) : কুয়াকাটার পর্যটন স্পটগুলোতে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। গতকাল সকাল থেকে দীর্ঘ ১৮ কিলোমিটার সৈকতজুড়ে রেকর্ড সংখ্যক পর্যটকের পদচারণে মুখরিত হয়ে উঠে। আগত পর্যটকরা দলবেঁধে সমুদ্রের নোনা জলে গা ভাসিয়ে উচ্ছাস করছেন। কেউ হইহুল্লোড়ে মেতে রয়েছেন। কেউ কেউ ঘোড়া, ওয়াটার বাইক কিংবা মোটরবাইকে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কেউ আবার সৈকতের বেঞ্চে বসে তীরে আছড়ে পড়া সমুদ্রের ঢেউসহ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। আগত পর্যটকদের নিরাপত্তায় মাঠে ট্যুরিস্ট পুলিশ, থানা পুলিশ ও নৌ পুলিশের তৎপরতা রয়েছে।
পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ বছরের সবচেয়ে বেশি পর্যটক হয়েছে। এর ফলে পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বিক্রি বেড়েছে। আর ক্রেতাদের ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন বিক্রেতারা। এ ছাড়া খালি নেই অধিকাংশ হোটেল-মোটেল-কটেজ-রিসোর্টের কক্ষ। বুকিং না থাকায় অনেক পর্যটক পড়েছেন ভোগান্তিতে। ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তায় জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশ সদস্যরা সর্বদা তৎপর রয়েছেন।