এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নরসিংদীর দুর্গম চরাঞ্চল আলোকবালীতে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন বিএনপির কর্মী ইদন মিয়া (৬২)। আহত হয়েছেন কমপক্ষে আরও ২৫ জন। এদের মধ্যে তিনজন গুলিবিদ্ধ। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সংঘর্ষের খবর সংগ্রহের সময় যমুনা টিভির সাংবাদিকের ওপর হামলা চালায় নিহতের স্বজনরা। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে আরও কয়েকজন সাংবাদিক আহত হন। তবে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। গতকাল ভোরে সদর উপজেলার নরসিংদীর দুর্গম চরাঞ্চল আলোকবালীতে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানায়, নিহত ইদন মিয়া আলোকবালী ইউনিয়নের মুরাদনগর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বিএনপির কর্মী। ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক নোয়াব আলীর সমর্থক। পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানিয়েছেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে সদর উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চল আলোকবালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. আসাদ আলী গ্রুপের সঙ্গে আলোকবালী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক নোয়াব আলীর দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এরই মধ্যে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর আলোকবালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। এক বছর পর গতকাল ভোর রাতে আওয়ামী লীগ সভাপতি আসাদ আলীর সমর্থকরা পুনরায় গ্রামে ঢোকার চেষ্টা করেন। ওই সময় বিএনপির লোকজন বাধা দেয়। এ সময় দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
ওই সময় নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করেন। এতে বিএনপির কর্মী ইদন মিয়া নামে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। আহত হন কমপক্ষে ২৫ জন। আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়। এদের মধ্যে তিনজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। নরসিংদী মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মো. এমদাদ হোসেন বলেন, এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। পরে বিস্তারিত বলা যাবে।