রাজধানীর সবজির বাজারে স্বস্তি নেই বহুদিন। প্রায় চার মাস ধরে ক্রেতারা চড়া দামে কিনছেন প্রতিটি সবজি। দাম কমার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। দাম না কমার পেছনে বিক্রেতাদের যুক্তি- বৃষ্টি, সরবরাহ সংকট।
গতকাল মালিবাগ, মগবাজার, শান্তিনগর ও কারওয়ান বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, সব ধরনের সবজির দামই গত মাসের তুলনায় ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ বেড়েছে। যেসব পণ্য সাধারণত দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত পরিবারে নিয়মিত রান্না হয়, সেগুলোর দামও এখন নাগালের বাইরে।
বাজারে এখন কেজিপ্রতি গোলবেগুন বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২০০ টাকা দরে, যা এক মাস আগেও ছিল ১০০-১২০ টাকা। পটোল ৯০, করলা ১০০, ঢ্যাঁড়শ ৯০, শসা ৮০, লাউ ৭০, মিষ্টিকুমড়া ৮০, ফুলকপি ১৪০, বাঁধাকপি ১৩০, টম্যাটো ১৫০, বরবটি ১২০, কাঁচামরিচ ২৫০, আলু ৩০, পিঁয়াজ ৭৫, রসুন ২২০, আদা ২৮০ এবং কাঁচা পেঁপে ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ধনেপাতা ৩০০ টাকা কেজি আর লেবু বিক্রি হচ্ছে হালি ২৫ টাকায়। বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সবজির দাম বৃদ্ধির পেছনে একাধিক কারণ কাজ করছে। সাম্প্রতিক টানা বৃষ্টিতে দেশের অনেক অঞ্চলে শাকসবজির খেত নষ্ট হয়েছে। পাইকারি বাজারে সরবরাহ কমে যাওয়ায় খুচরা পর্যায়ে তার প্রভাব পড়ছে। জ্বালানি তেলের দাম ও পরিবহন খরচও বেড়েছে। ট্রাকভাড়া বাড়ায় গ্রামের কৃষিপণ্য শহরে আনতে ব্যয় বেড়েছে প্রায় ২০ শতাংশ। একই সঙ্গে শ্রমিক মজুরি, গুদামভাড়া ও পাইকারি ঘাটতির কারণে খরচ বাড়ছে ধাপে ধাপে।
সবজির পাশাপাশি প্রাণিজ প্রোটিনেও লেগেছে আগুন। বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৯০ টাকায়। সোনালি মুরগির দাম ৩০০ টাকার মধ্যে। ডিমের দামও কমেনি। ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকায়। মাছের বাজারেও চাপ। তেলাপিয়া প্রতি কেজি ২২০, পাঙাশ ১৮০-২২০, কই ২৪০-২৮০। মাঝারি সাইজের রুই ৩৫০-৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চালের বাজারেও স্বস্তি নেই। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মিনিকেট চালের মধ্যে ডায়মন্ড, মঞ্জুর ও সাগর ব্র্যান্ড বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। রশিদ ৭২ টাকায়, মোজাম্মেল ব্র্যান্ড মিনিকেটের দাম ৮৫ টাকা প্রতি কেজি।