ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস বলেছেন, এইচএসসির এ বছরের ফলাফলকে বিপর্যয় বলা যাবে না। এর আগে অতিরিক্ত নম্বর দিয়ে ফলাফল ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখানো হতো। প্রকৃত ফলের চেয়ে বেশি ভালো ফল দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের বিপর্যস্ত করা হতো। কারণ এসব পাবলিক পরীক্ষায় ভালো ফল করে তাদের মধ্যে প্রত্যাশা বেড়ে যায়। আর উচ্চ বিদ্যাপীঠে পরীক্ষা দিয়ে তারা প্রত্যাশা অনুযায়ী ফলাফল পায় না। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে এ প্লাস পেলেও বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেল করত। এটাই ছিল চিত্র। বর্তমানে লেখাপড়ার মান অনুযায়ী ফল পাচ্ছে বলে মনে করি। লেখাপড়ার মান বাড়াতে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে ফেরাতে হবে। আশা করছি, এবার এইচএসসিতে ভালো ফল করা ছাত্রছাত্রীরা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় ফেল করবে না। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। এ অধ্যক্ষ বলেন, শিক্ষার্থীদের যথাযথ মোটিভেশন দেওয়া দরকার যাতে তারা পড়ালেখায় মনোযোগী হয়। আগে ছিল করোনাভাইরাস, এরপর ছিল জুলাই অভ্যুত্থান। এসবের পরে ছাত্রছাত্রীদের মনোজগতে বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছে। অনেক ছাত্রছাত্রী ক্লাসের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়ে এলেও তারা শ্রেণিকক্ষে আসত না। শিক্ষকরা তাদের ক্লাসে ফেরানোর চেষ্টা করছেন। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় মনোযোগী করতে শিক্ষকদের পাশাপাশি অভিভাবকদেরও ভূমিকা রয়েছে। কারণ তারা অধিকাংশ সময় শ্রেণিকক্ষের বাইরে পরিবারের সঙ্গেই পার করে।
অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস বলেন, মাধ্যমিকের গণ্ডি পার করে আসার পর উচ্চ মাধ্যমিকে সিলেবাসের পরিধি যেমন বড় হয় তেমনি শিক্ষার্থীদের নিজেদের পরিধিও বড় হয়ে যায়। কলেজে ভর্তি হওয়ার পর নতুন জগতের সঙ্গে পরিচয় হয়, নতুন বন্ধুবান্ধব তৈরি হয় তাদের। এ সময় তাদের যথাযথ দিকনির্দেশনা দেওয়া প্রয়োজন।