রাজধানীর সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা বলেছেন, এবারের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল গত ২১ বছরের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। এই ফলাফল কমে যাওয়ার পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। এর একটি কারণ হচ্ছে বেশি মানসম্মত করতে গিয়ে খুব কঠিন প্রশ্ন করেছেন প্রশ্ন প্রণেতারা। কমন বিষয়গুলো পরিহার করে অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রশ্ন করাও ফল বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। এ অধ্যক্ষ বলেন, এইচএসসিতে তাদের জন্য যে সিলেবাস দেওয়া থাকে সে হিসেবে শিক্ষার্থীরা সময় পান না। তা ছাড়া পরীক্ষার রুটিনে প্রয়োজন মাফিক বিরতি না থাকার কারণেও পরীক্ষার্থীরা ভালো প্রস্তুতি নিতে পারেনি। পাসের হার কমে যাওয়ার পেছনে গ্রেস মার্ক না থাকাও একটা বড় কারণ। গণিতের প্রশ্নগুলো তুলনামূলক কঠিন ও বিশ্লেষণাত্মক হয়েছে। ব্যবসায় শিক্ষার প্রশ্নও যথেষ্ট কঠিন ছিল বলে পরীক্ষার্থীরা জানিয়েছে। মাহবুবুর রহমান মোল্লা বলেন, ইংরেজি বিষয়ের কম্পোজিশনের উত্তরে কোনো বিকল্প ছিল না প্রশ্নপত্রে। এ কারণে অনেক শিক্ষার্থী হয়তো এটি কমন পায়নি। এতে বিকল্প অপশন থাকলে ফল হয়তো আরও ভালো হতে পারত। ইংরেজিতেই পিছিয়ে পড়েছে অনেক ছাত্রছাত্রী। তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লব আন্দোলনে এই পরীক্ষার্থীদের বেশির ভাগই প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিল বলে মনে করি। করোনাতেও তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তা ছাড়া পুরো শিক্ষাজীবনে তারা একটা পাঠ পরিস্থিতি অনুসরণে অভ্যস্ত হয়েছে। হঠাৎ করে তা বদলে ফেলার কারণেও ফলাফলে নেতিবাচক প্রভাব এসেছে।
এ অধ্যক্ষ মনে করেন, এইচএসসিতে এক দীর্ঘ সিলেবাস পার করতে হয় ছাত্রছাত্রীদের। কিন্তু এ সিলেবাস শেষ করতে পর্যাপ্ত সময়ও দেওয়া হয় না তাদের। যেহেতু দুই বছরের পুরো সময় পান না তারা তাই শিক্ষার্থীদের স্বার্থে সিলেবাসের দৈর্ঘ্য কমিয়ে আনা উচিত।