ফাল্গুনের আগমনে আকাশে বাতাসে উড়ে বেড়াচ্ছে প্রেমের গন্ধ। তার ওপর আবার ভ্যালেনটাইনস ডে। তাই যাদের জীবনে প্রেমিক-প্রেমিকা রয়েছে তাদের কাছে এই দিনটি উপভোগ্য হলেও, যারা এখনও সিঙ্গেল, তাদের অনেকের কাছেই এই দিনটা বেশ কষ্টের।
তবে এক গবেষণার ফলাফলে বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই মুহূর্তে যারা সম্পর্কে রয়েছেন তাদের থেকে অনেক বেশি আনন্দে থাকেন যারা সিঙ্গল। সাম্প্রতিক এই গবেষণাটি বলছে, সাময়িকভাবে একা থাকাকে অনেকেরই দুঃখজনক বা ট্র্যাজেডি বলে মনে হতে পারে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, যারা একা থাকেন, তাঁরা মানসিকভাবে অনেক সুখে এবং শান্তিতে থাকেন।
এছাড়া গবেষকরা আরও বলছেন, একা থাকার কয়েকটি বাস্তবমুখী সুবিধাও রয়েছে। যেগুলো অনেকক্ষেত্রেই জীবনে সঙ্গী থাকলে সম্ভব হয় না। আপনিও নিশ্চয়ই জানতে চান কী সেই সুবিধা, যেগুলো এই ভ্যালেনটাইনস ডেতে আপনি একা থাকলেও পেতে পারেন। জেনে নিন বিস্তারিত-
১. ফিট এন্ড ফাইন-
যারা বিবাহিত বা প্রেম করেন তাদের মধ্যে ৭৩ শতাংশ মানুষই ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যায়াম করতে ব্যর্থ হন। কিন্তু বিচ্ছেদ ঘটলে বা বিয়ে ভেঙে গেলে এরাই আবার ফিট এন্ড ফাইন থাকার কাজ শুরু করে দেন।
২. বন্ধু সংখ্যা বাড়বে-
সঙ্গী বা সঙ্গিনীর দেখা পেলে বন্ধুরা কেমন যেন দূরের হয়ে যায়। আবার সম্পর্ক ভেঙে গেলে তারাই কাছে চলে আসে। এরকমটা তো এখন হামেশাই দেখা যায়। একথা ভীষণভাবে সত্যি। যারা সম্পর্কে থাকেন, তাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ মানসিকতা কম দেখা যায়। বরং যারা একা থাকেন তাদের মধ্যে যে কোনও কিছুতে সহজেই ঝাঁপিয়ে পড়া বা মানুষকে সাহায্য করার প্রবণতা বেশি থাকে।
৩. কর্মক্ষেত্রে তৃপ্ত থাকবেন-
যখন আপনি একা, তখন ক্যারিয়ারের পেছনে অনেক সময় ব্যয় করতে পারবেন। আর এরজন্য তখন নিজেকে দোষী বলেও মনে হবে না। একাকী মানুষরা তার কর্মক্ষেত্রে সম্পর্কে থাকা মানুষদের থেকে অনেক বেশি সুখী থাকেন। কারণ একা থাকলে মানুষ কাজ করার জন্য যথেষ্ট সময় ও চিন্তা ব্যয় করার সুযোগ পেয়ে যান।
৪. খরচ কমে যায়-
সম্পর্কে থাকা মানুষদের তুলনায়, যারা একা থাকেন তাদের খরচ অনেক কমে যায়। কারণ একা থাকলে ঘোরাঘুরি বা ডিনার করতে যাওয়ার সমস্যা নেই। ফলে স্বাভাবিকভাবেই টাকা অনেক বেশি জমানো সম্ভব হয় সিঙ্গল মানুষদের পক্ষে।
৫. ঘুম ভাল হয়-
একা ঘুমালে আপনার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটানোর মতো কেউ থাকবে না। এমনকি ঝগড়া, অশান্তি বা অন্য কোনও চাপও এই সময় জীবনে থাকবে না। ফলে এই সময় যখনই ইচ্ছা হবে আপনি শান্তিতে ভালভাবে ঘুমোতে পারবেন।
এছাড়াও গবেষণা বলছে, একা থাকার আরও একটা সুবিধা রয়েছে। আপনি যদি একা থাকেন তবে আপনার আশেপাশে, বন্ধুমহলে এবং সোশ্যাল সাইটগুলিতে আপনার জনপ্রিয়তা অনেকের থেকে অনেক বেশি হবে।
বিডি-প্রতিদিন/ আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর