সোশ্যাল মিডিয়ার রিলস-এ খানিকটা ঢুঁ মারলে দেখবেন- চেনা নায়িকাদের বরফঠান্ডা জলে মুখ ডুবিয়ে রাখার অসংখ্য ভিডিও। রূপচর্চার এই পদ্ধতিকে বলা হয় ‘থার্মাজেনসিস’। যদিও অনেকে একে ‘কোল্ড থেরাপি’ হিসেবে চেনেন।
এই পদ্ধতি সাময়িকভাবে প্রদাহ কমায়, ত্বককে উজ্জ্বল করে এবং ব্রণ প্রতিরোধে অব্যর্থ। হাল ফ্যাশনে ‘বরফকুচি’ ট্রেন্ডি রূপচর্চা হলেও- ধারণাটি কিন্তু মোটেও নতুন নয়। অনেক বছর আগে থেকেই ত্বকের যত্নে ‘শীতল পানি’ কিংবা ‘বরফকুচি’ ব্যবহার করা হতো। যুগে যুগে এই প্রথাটি রূপসচেতন নারীদের কাছে বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
ফেমিনা ডটইন-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে ভারতের ‘আমিনু’ স্কিনকেয়ার ব্র্যান্ডের সহ-প্রতিষ্ঠাতা, প্রাচী ভান্ডারি বলেন, ‘ঠান্ডা তাপমাত্রা রক্তনালিগুলো সংকুচিত করে। আর আক্রান্ত স্থানে আরও উষ্ণ রক্ত পাঠাতে উৎসাহিত করে। বরফকুচির হিম তাপমাত্রা ত্বকের রক্তনালিকে সংকুচিত করে, যা বর্ধিত রন্ধগুলোকে কমিয়ে দেয়। ফলে মুখে বার্ধক্যের ছাপ পড়ে না। এতে মুখের রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি পায়। ত্বক উজ্জ্বল হয়। মুখে লাল লাল আভা কিংবা জ্বালা জ্বালা ভাব কমে যায়। বরফকুচির সংস্পর্শে ত্বক টানটান হয়ে ওঠে।’
তবে এর উপকারিতা থাকলেও অতিরিক্ত ঠান্ডার সংস্পর্শে ত্বকের ক্ষতিও হতে পারে। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই সচেতন হন। বিশেষজ্ঞদের মতে, সকালে চোখের ফোলাভাব, এমনকি ত্বকের প্রাণবন্তভাবের জন্য সপ্তাহে একবার ত্বকে বরফ ব্যবহার ভালো ফলাফল দিতে পারে। তাই ত্বকে সরাসরি বরফ না ঘষে, পাতলা কাপড়ে মুড়ে বরফ গোলাকারভাবে ধীর গতিতে ত্বকে ব্যবহার করতে হবে। কয়েক মিনিটের বেশি ব্যবহার একেবারেই নয়। প্রাচী ভান্ডারি আরও বলেন, ‘ত্বকে অল্প সময়ের জন্য গতিশীলভাবে বরফ ব্যবহার করতে হবে। নয়তো অতিরিক্ত ঠান্ডায় অনেক সময় পোড়াভাব দেখা দিতে পারে।’
তথ্যসূত্র : ভোগ ম্যাগাজিন।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ