২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৮:৫৫

খাদ্য উৎপাদন ও বাজার ব্যবস্থাপনা নিয়ে গবেষণা বাড়াতে হবে : খাদ্যমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক

খাদ্য উৎপাদন ও বাজার ব্যবস্থাপনা নিয়ে গবেষণা বাড়াতে হবে : খাদ্যমন্ত্রী

খাদ্য উৎপাদন ও বাজার ব্যবস্থাপনা নিয়ে গবেষণা বাড়াতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন, টেকসই খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পথ নির্দেশিকা তৈরি হয়েছে। কাঙ্খিত লক্ষে পৌঁছাতে ও ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

আজ রাজধানীর একটি হোটেলে “ন্যাশনাল ডিসেমিনেশন ওয়ার্কশপ অভ ফুড এন্ড নিউট্রেশন সিকিউরিটি স্টাডিজ’’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবার চাই। একশ্রেণির ব্যবসায়ীরা খাদ্যে ভেজাল মিশিয়ে সেটাকে অনিরাপদ করে তোলেন। নিরাপদ ও পুষ্টি তথ্যের পাশাপাশি অনরিাপদ খাবারের বিষয়ে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। একই সাথে কৃষির উৎপাদন কিভাবে বাড়ানো যায়, কিভাবে সংরক্ষণ করলে চাল দীর্ঘদিন ভালো থাকে তা নিয়ে গবেষণা করতে হবে। 

তিনি আরও বলেন, খাদ্য উৎপাদন ও ব্যবহারে সঠিক তথ্য উপাত্ত থাকা জরুরি। উৎপাদন কতটুকু আর ব্যবহার হচ্ছে কতটুকু সেটা জানা থাকলে খাদ্যও পুষ্টির জন্য পরিকল্পনা করা সহজ হয়। বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য সঠিক তথ্য আরও গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী। 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, টেকসই ও সহনশীল খাদ্য ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সরকারেরর নানা ধরনের উদ্যোগ রয়েছে। খাদ্যের অপচয় রোধ এবং পুষ্টিকর খাদ্য সকলের জন্য নিশ্চিত করে ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উচ্চমধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে।

অনুষ্ঠানে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ডক্টর মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ড. সাশসুল আলম। এছাড়া জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি সিম্পসন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের হেড অফ কোঅপারেশনের মাওরিজিও চিয়ান এবং ইউএসএইড এর ডেপুটি অফিস ডিরেক্টর রেবেকা মোয়ানিকেলা রবিনসন বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে ব্যাংকক থেকে এফএও এর সিনিয়র নিউট্রেশন অ্যাডভাইজর ললিতা ভট্টাচার্য সংযুক্ত হয়ে বক্তৃতা করেন।

অনুষ্ঠানে উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ জানান, খাদ্য ও পুষ্টির উন্নয়নে বাংলাদেশের অর্জন সবিশেষ উল্লেখযোগ্য। করোনাকালে এদেশের খাদ্য ব্যবস্থাপনা প্রশংসার দাবি রাখে। উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো খাদ্য ও পুষ্টি নিশ্চিত করতে সহযোগী হতে পেরে গর্ববোধ করে। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (এফপিএমইউ) মো. শহীদুজ্জামান ফারুকী।

বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর