ভারতে এবার ধর্ষণ প্রতিরোধে বিশেষ ধরনের 'ধর্ষণবিরোধী' জিন্সের প্যান্ট তৈরি করেছেন দুই কলেজ ছাত্রী। এই প্যান্টে ছোট একটি ডিজিটাল ডিভাইস থাকবে। এর বোতামে চাপ দিলে এটি কাছাকাছি থানায় সিগন্যাল পাঠিয়ে দেবে। আর এ সিগন্যাল দেখে পুলিশ বুঝে নেবে যে, কোনো নারী যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এরপর তারা সিগন্যাল ট্র্যাক করে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাবে।
আর এর ফলে কোনো নারী ধর্ষণের মতো যৌন নির্যাতনের হাত থেকে বেঁচে যাবেন। ভারতে পর্যায়ক্রমে ঘটে যাওয়া পাশবিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উত্তর ভারতের বারানসি শহরের ২১ বছর বয়সী দীক্ষা পাঠক ও ২৩ বছর বয়সী অঞ্জলি শ্রীবাস্তব বন্ধুদের সহযোগিতায় এ প্যান্ট তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন।
তারা জানান, প্যান্টটিতে একটি ছোট ইলেক্ট্রনিক যন্ত্র স্থাপন করা হয়েছে। এর বোতাম চাপ দেওয়া মাত্রই যন্ত্রটি নিকটবর্তী থানায় বার্তা পাঠাবে যেন পুলিশ দ্রুত স্থানটি ট্র্যাক করে ভুক্তভোগী নারীকে সহযোগিতা করতে পারে। প্রায় দুইশ থানা এ পদ্ধতির আওতায় আনা হয়েছে।
পরীক্ষামূলকভাবে এই পদ্ধতি সফল হলে আগামী মাসে দেশব্যাপী এই পদ্ধতি চালু করার সুযোগ পাবেন বলেও জানান তারা। দীক্ষা ও অঞ্জলি বলেন, উত্তর প্রদেশে গত মাসে ১২ এবং ১৪ বছর বয়সী দুই শিশু গণধর্ষণে মারা যাওয়ার পরে এ ধরনের চিন্তা তাদের মাথায় আসে।
বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী ট্যাক্সিক্যাব চালকের মেয়ে পাঠক বলেন, আমার বাড়ি ফিরতে দেরি হলে বাবা চিন্তায় প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়েন। দেশব্যাপী ক্রমাগত গণধর্ষণের সংবাদ আমাকেও বিষণ্ন করে তুলেছিল। আমি আশা করি, এই প্যান্ট পরলে আর কোনো নারীকে এ ধরনের বর্বর ঘটনার শিকার হতে হবে না। কেবল তিন মাস অন্তর অন্তর ব্যাটারি পাল্টাতে হবে।
ভারতের সরকারি তথ্যমতে, প্রতি ২২ মিনিটে দেশটিতে একজন করে নারী ধর্ষণের শিকার হন।