সম্পর্ক ভেঙে গেলে হতাশায় ভোগে মানুষ। এর থেকে মুক্তির জন্য অনেকে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। একই কারণে ভারতের উত্তরপ্রদেশের সহারনপুরের ২৪ বছরের তরুণীও ঠিক করেছিল সে আত্মঘাতী হবে যমুনা নদীর ব্রিজ থেকে ঝাঁপ দিয়ে। তবে ঝাঁপ দেওয়ার মুহূর্তেই তার মনে দ্বিতীয় চিন্তার উদয় হয়। সে ঠিক করে সহজ পদ্ধতিতে আত্মহত্যা করবে।
এজন্যই সে গুগলের দ্বারস্থ হয়। তবে গুগলে সার্চ করার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর কাছে বেশ কিছু অপশন আসে। সেই অপশন থেকেই সে স্থানীয় থানার পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলে।
যিনি তাকে সফলভাবে মৃত্যুর পথ থেকে সরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে বোঝাতে সমর্থ হন। তিনিই তাকে পাঠান ‘আসরা’ নামক এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায়। যারা আত্মহননের পথ থেকে জীবনের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।
স্থানীয় থানার ডিআইজি জিতেন্দ্র কুমার সাহনি পরে বলছিলেন, ‘জানুয়ারি মাসের ৩ তারিখে নিজের মোবাইলে একটি ফোন পাই আমি। ফোনের অপর প্রান্তে ছিল একজন তরুণী, যে নার্ভাস হয়ে আত্মঘাতী হওয়ার কথা বলছিলেন। তড়িঘড়ি আমি ওকে নিজের অফিসে ডেকে পাঠাই।’
পুলিশ কর্মকর্তার কাছে নিজের কাহিন তুলে ধরেন সেই তরুণী। কি হয়েছিল? বেশ কয়েকবছর ধরে একজনের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন সেই তরুণী। তবে সম্প্রতি সরকারি চাকরি পেয়ে যাওয়ার পর গার্লফ্রেন্ডকে অ্যাভয়েড করছিলেন তিনি। পরিবারের চাপে অন্যত্র বিযেতেও রাজি হয়ে যান। তারপরেই আত্মহনেনর সিদ্ধান্ত।
তবে মৃত্যুর মুখে চলে যাওয়া সেই তরুণীকেই ক্যারিয়ার কাউন্সেলিংয়ে পাঠিয়ে নতুন জীবন দেন সেই পুলিশ কর্মকর্তা। সূত্র: এবেলা
বিডি-প্রতিদিন/০৪ মার্চ, ২০১৭/মাহবুব