অভিনব এই হানিমুন সবাইকে চমকে দিতে বাধ্য। মধুচন্দ্রিমা বলতে যে ছবিটা সাধারণত চোখে ভেসে ওঠে, এ তার চেয়ে অনেকটাই আলাদা। নজরকাড়া রোম্যান্টিক লোকেশন, বিলাসবহুল হোটেল, আদরে-আহ্লাদে মাখো মাখো ছুটির ফাঁকে একে অন্যকে চিনে নেওয়ার অবসর। এ সবের কিছুই এই হানিমুনের সঙ্গে মিলবে না। এখানে হানিমুন মানে রোদ-ঝড়-জলে পাশাপাশি চলা দুটি মোটর বাইক আর চড়াই-উতরাই পেরিয়ে প্রায় ৩০০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি।
ভারতের কেরালার নবদম্পতি লোকাব্য মীনাক্ষি কুরুপ সম্প্রতি বিয়ে করেন চেন্নাইয়ের গোমাথি শঙ্করকে। বেঙ্গালুরুর ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োলজিক্যাল সায়েন্সের প্রাক্তন এবং শঙ্কর ফ্রিল্যান্সার সফট স্কিল ট্রেনার হিসেবে কাজ করেন। এঁরা কেউই হার্ড কোর বাইকার না হলেও বাইক চালাতে ভালোবাসেন দুজনেই। ভালোবাসেন সমুদ্রও। দুজনের পছন্দ এক জায়গায় এসে মিলে যাওয়ায় নিজেদের হানিমুন একটু অন্যরকম ভাবে স্মৃতিতে ধরে রাখার পরিকল্পনা করেন এরা। পালাক্কারের একটি প্রাচীন মন্দিরে বিয়ে সমুদ্রের কাছে রিসেপশন পার্টি। বিয়ের উপহারে নববধূকে আংটি বা অন্য কোনও গয়না নয়, শঙ্কর দেয় রয়্যাল এনফিল্ডের একটি ক্লাসিক মডেলের বাইক। তাঁর আগে থেকেই ছিল রয়্যাল এনফিল্ডের থান্ডার বার্ড। ব্যস, বাইকেই হানিমুন সারার চিন্তা পাকা হয়ে যায়।
কন্যাকুমারী থেকে সমুদ্রের পাড় ধরে কচ্ছ রওনা দিচ্ছেন এই দম্পতি। কোন তাড়াহুড়ো নয়, ধীরেসুস্থে সময় নিয়েই তাঁরা পৌছতে চান বলে জানিয়েছেন। চলার পথে কোনও লোকেশন যাতে মিস না হয়ে যায়, তার জন্য প্রয়োজনে হাইওয়ে ছেড়ে ঘুররাস্তা ধরতেও আপত্তি নেই তাঁদের। দরকারমতো বিশ্রাম নিয়েই এই পথ পাড়ি দেবেন বলে জানিয়েছেন। বাইক-হানিমুনে তাদের এই যাত্রা নিয়ে উত্তেজিত দু-জনেই। তাদের হানিমুন চলছে ৩০০০ কিলোমিটারের পুরো পথ জুড়েই। সূত্র: এই সময়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার