'ধীরে ধীরে এক-দুই টাকার মুদ্রা তুলে নেওয়া হবে। তখন পাঁচ টাকাই হবে সর্বনিম্ন মুদ্রা।' এমন বক্তব্য দেওয়ার একদিন পর আর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত এবার বললেন, এক টাকা ও দুই টাকার নোট বাজারে থাকছে। মানুষ ব্যবহার না করলে তা আপনা আপনি বাজার থেকে ওঠে যাবে।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) সোমবার সকালে আন্তর্জাতিক অটিজম ও অর্থপেডিক সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, এক ও দুই টাকার নোট এখনই উঠিয়ে দেয়া হচ্ছে না। বাজারে যেসব নোট রয়েছে সেগুলো চলতে থাকবে। এটি একটি প্রক্রিয়া। যখন সবকিছুর মূল্য পাঁচ টাকা এবং ১০ টাকায় চলে আসবে তখনই এক ও দুই টাকার নোট তুলে দেয়া হবে।
৬/৭ টাকার মতো ভাঙতি কিভাবে দেয়া হবে জানতে চাইলে আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, যখন এটা কার্যকর হবে তখন এক বা দুই টাকার ভাঙতির প্রয়োজন হবে না।
এর আগে, অটিজম সসম্যা নিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘অটিজম সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। বাংলাদেশের এ সমস্যা মোকাবেলায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। অটিজম আক্রান্ত শিশুকে সেই পরিবেশ সৃষ্টি করে দিতে হবে।’
সভাপতির বক্তব্যে বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক প্রাণ গোপাল দত্ত বলেন, ‘বাংলাদেশে অটিজমের বিপ্লবাত্মক পরিবর্তন হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কন্যা পুতুলের জন্য। এখানে অটিজমে আক্রান্তদের অভিভাবক নিয়ে ফোরাম করা হয়েছে। প্রায় প্রতিমাসে ফোরামের সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।’
তিনি বলেন, ‘অটিজমে আক্রান্তরা যেন সমাজে বৈষম্যের শিকার না হয়, সে জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’
সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় অধ্যাপক শাহেলা খাতুন, বিএমের ইউকে চ্যাপ্টারের সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ হাসান, বিএমের মহাসচিব ডা. ইকবাল আর্সলান ও ইউকে মেডিকেল এ্যাসোসিয়েশনের নেতারা।
বিডি-প্রতিদিন/১৯ জানুয়ারি, ২০১৫/মাহবুব