২০ দলীয় জোটের ঘোষিত অনির্দিষ্টকালের অবরোধ কর্মসূচি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত চলবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া।
আজ সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন। সম্মেলনের শুরুতে দেশের বর্তমান সহিংস পরিস্থিতি নিয়ে দেশি-বিদেশি বন্ধুদের উদ্বেগ-সহানুভুতি এবং যারা অবরোধের সমর্থনে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাচ্ছে তাদেরকে তিনি ধন্যবাদ জানান।
দেশের বর্তমান সহিংস পরিস্থিতি তুলে ধলে খালেদা জিয়া বলেন, বিএনপি পুলিশ হত্যা, গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ানো ও লগি বৈঠার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। তাই বর্তমানে দেশে ঘটে চলা সহিংস ঘটনার জন্য তিনি আওয়ামী লীগকে দায়ি করেন।
বিএনপি ও দেশবাসীর ন্যূনতম অধিকার হরণ করা হচ্ছে উল্লেখ করে বিএনপি চেয়ারপার্সন বলেন, আমাকে অবরুদ্ধ করার পাশাপাশি সারাদেশের মানুষকে অবরুদ্ধ করা হয়েছে। ঢাকাকে সারাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে, সড়কে ট্রাক-জলকামান রাখা হয়েছে এবং পিপার স্প্রে করে আমাদের অসুস্থ করে কী অমানবিক আচরণ না করেছে সরকার।
সংবাদ সম্মেলনে সংলাপ বা সমঝোতার কথা না বললেও এদিন দেশের চলমান সংকট রাজনৈতিক সংকট উল্লেখ করে এ সংকট নিরসনে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান খালেদা জিয়া।
সরকার অবরোধ কর্মসূচি দিতে বাধ্য করেছে মন্তব্য করে খালেদা জিয়া বলেন, সরকার আগের মতোই গত একটি বছর বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের হামলা-মামলা-হয়রানি করে আসছে। সভা-সমাবেশ করতে দেয়নি। দলের মহাসচিব ফখরুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের গ্রেফতার করেছে। বিএনপি নেতাদের হামলা ও গুলি বর্ষণ করা হচ্ছে। আমাকে অবরুদ্ধ করেছে। এ কারণে ২০ দল শান্তিপূর্ণ অবরোধের ডাক দিতে বাধ্য হয়েছে বলে দাবি করেন খালেদা জিয়া।
ঘটনাস্থল থেকে ঘাতক-বোমাবাজদের গ্রেফতার না করে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ঘর-বাড়িতে হানা দিয়ে তাদের আটক করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া।
এর আগে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আর এ গণি, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হান্নান শাহ, নজরুল ইসলাম খান, ড. মঈন খানের সঙ্গে বৈঠক করেন খালেদা জিয়া।
উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি বিএনপির মহাসমাবেশের অনুমতি না দিয়ে দলটির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে সরকার। এর প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধ কর্মসূচির ডাক দেয় বেগম জিয়া।
বিডি-প্রতিদিন/১৯ জানুয়ারি, ১৫/মাহবুব