তৈরি পোশাক শিল্পের উৎসে কর দশমিক ৩০ শতাংশ থেকে প্রায় আড়াই গুণ বাড়িয়ে ১ শতাংশ করা হচ্ছে, যা চূড়ান্ত কর হিসেবে বিবেচিত হবে। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটে এ প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
অন্য সব রপ্তানি পণ্যের ক্ষেত্রেও রপ্তানি মূল্যের উপর উৎসে করহার দশমিক ৬০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে একই করহারকে চূড়ান্ত কর হিসেবে প্রস্তাব করা হয়েছে।
বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, ''বিশেষ পরিস্থিতি বিবেচনায় গত অর্থবছরে তৈরি পোশাক ও অন্য সব রপ্তানি পণ্যের উপর করহার যথাক্রমে রপ্তানিমূল্যের দশমিক ৩০ শতাংশ ও দশমিক ৬০ শতাংশে নামানো হয়। আমাদের কাপড় এবং পোশাক শিল্প নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে। এছাড়া আরো রপ্তানি দ্রব্যও এই সুযোগ পায়। এই সুযোগটি শুধু এক বছরের জন্য দেওয়া হয়েছিল। তাই এবারে এই সুযোগ প্রত্যাহার করে তৈরি পোশাক, টেরি টাওয়েল, কার্টন ও এক্সেসরিজ, পাট ও পাটজাত পণ্য, হিমায়িত মাছসহ সকল রপ্তানি পণ্যের রপ্তানি মূল্যের উপর ১ শতাংশ হারে উৎসে কর কর্তনের প্রস্তাব করছি এবং একইসঙ্গে উক্ত কর সকল ক্ষেত্রে করদাতার চূড়ান্ত করদায় হিসেবে গণ্য করার প্রস্তাব করছি।''
পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের ন্যূনতম বেতন পুনঃনির্ধারণ ও ২০১৩ সালের রাজনৈতিক অস্থিরতার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে গত বছর তৈরি পোশাক রপ্তানি মূল্যের উৎসে করহার দশমিক ৮০ শতাংশ থেকে কমিয়ে দশমিক ৩০ শতাংশ করা হয়।
এই করহার কমানোর ফলে বছরে সরকারের রাজস্ব আয় ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা কম হবে বলে সেসময় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড জানায়।
তবে দশমিক ৩০ শতাংশ উৎসে করকে চূড়ান্ত কর হিসেবে গণ্য করে মোট পাঁচ বছরের জন্য এই সুবিধা বহাল রাখার দাবি জানিয়ে আসছে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ।
বিডি-প্রতিদিন/০৪ জুন ২০১৫/ এস আহমেদ