রান্নার কাজ ও যানবাহনে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম আবার বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব নাজিমউদ্দিন চৌধুরী।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত বাণিজ্য সহায়ক পরামর্শক কমিটির সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সচিব বলেন, গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রক্রিয়া চলছে। রান্নার কাজ ও গাড়িতেই মোট গ্যাসের ২০ শতাংশ ব্যয় হয়ে যায়। অথচ এ থেকে সরকার পায় মাত্র ১ হাজার ৩০ কোটি টাকা। অথচ এই পরিমাণ গ্যাস শিল্প খাতে গেলে ৮০ হাজার কোটি টাকার সুবিধা পাওয়া যেত। তাই সরকার রান্নার কাজে লাইন গ্যাসের পরিবর্তে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম (এলপি) গ্যাস সিলিন্ডারের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে।
তবে সার ও বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে গ্যাসের দাম বাড়ানোর আপাতত কোনো চিন্তা নেই বলে জানান জ্বালানি সচিব।
তিনি বলেন, আমরা এ দুই প্রকার গ্যাস ব্যবহারে জনগণকে নিরুৎসাহিত করতে চাই। তাই এ দুই প্রকার গ্যাসের দাম বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাসাবাড়িতে পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর গৃহস্থালি কাজে এক বার্নারের গ্যাসের চুলা ব্যবহারের জন্য ৪০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা এবং দুই বার্নারের চুলা ব্যবহারের জন্য ৪৫০ থেকে বাড়িয়ে ৬৫০ টাকা হয়। একই সময় কমপ্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস (সিএনজি) প্রতি ইউনিট ৩০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩৫ টাকা করা হয়।
এদিকে বৈঠকে আগামী ১ জুলাই থেকে নতুন মূল্য সংযোজন কর (মূসক) আইন কার্যকরের আগে সাতটি বিষয় সংশোধনের দাবি জানান ব্যবসায়ীরা। এ দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত অর্থমন্ত্রী জানান, শিগগিরই তিনি শুধু মূসক আইনের এই সাতটি বিষয় নিয়েই বৈঠক ডাকবেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সভাপতিত্বে বাণিজ্য সহায়ক পরামর্শক কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ