উপকূলের কাছাকাছি চলে এসেছে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু। এটি শনিবার ভোর ৬টা নাগাদ পায়রা বন্দর থেকে ১৩৫ কিলোমিটার, মংলা বন্দর থেকে ১৯০ কিলোমিটার, কক্সবাজার থেকে ২৩০ কিলোমিটার ও চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ২৫৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল। ঘূর্ণিঝড়টি পূর্ব-উত্তরপূর্ব দিকে ধাবিত হয়ে শনিবার দুপুরের মধ্যে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১৭ নম্বর বিশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
চট্টগ্রাম, মংলা এবং পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেট দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় দু'দিন ধরে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। শনিবার ভোর থেকেই ঝড়ো হাওয়া বইছে উপকূলীয় এলাকায়। রাজধানী ঢাকায়ও গত রাত থেকে বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড়ের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ৬২ কিলোমিটার যা ঝড়ো হাওয়ায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছাকাছি সমুদ্র ভীষণ উত্তাল রয়েছে।
উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তৎসংলগ্ন দ্বীপ ও চরসমূহ ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। কক্সবাজার জেলা এবং তৎসংলগ্ন দ্বীপ ও চরসমূহ ৬ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
ঘূণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলাগুলোর নিম্নাঞ্চল এবং দ্বীপ ও চরগুলো ৪-৫ ফুট পানিতে প্লাবিত হতে পারে। ঘূণিঝড়ের কারণে সকল মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি নিরাপদে অবস্থান নিতে বলা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ