বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ বরগুনা উপকূল অতিক্রম করেছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। তবে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বরগুনায় এখন পর্যন্ত বড় কোনো ক্ষতি বা প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে রোয়ানুর প্রভাবে বরগুনায় শুক্রবার রাত থেকে তীব্র বাতাসের সঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। শনিবার দুপুর দেড়টায় (এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত) পুরো জেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। দুর্গতদের আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নিতে জেলা প্রশাসনের প্রচার প্রচারণা অব্যাহত রয়েছে। জেলার ৬টি উপজেলার ৩৩৫টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়। এতে কয়েক হাজার মানুষ আশ্রয় গ্রহণ করেছে। ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) ৬ হাজার ৩৩০ জন স্বেচ্ছাসেবক নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে দুর্গতদের সহায়তায়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বরগুনা অফিস সূত্রে জানা গেছে, স্বাভাবিক জোয়ারের তুলনায় এখনকার জোয়ারের পানি দুই থেকে তিন ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে বরগুনা সদর, তালতলী ও পাথরঘাটা উপজেলার চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তিনটি বেড়িবাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানি ঢুকে বিভিন্ন গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ