সোমবার রাতে চট্টগ্রামে গ্যাস প্ল্যান্ট বিস্ফোরণে ছড়িয়ে পড়া অ্যামোনিয়া গ্যাস নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে ইতোমধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনেকে। ৫ শিশুসহ ৫৭ জন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
ড্যাপ (ডাই অ্যামোনিয়াম ফসফেট) সার কারখানাটি কর্ণফুলী নদী সংলগ্ন আনোয়ারা থানাধীন ইউরিয়া সার কারখানা কমপ্লেক্সের মাঝে অবস্থিত। এই ড্যাপ সার কারখানার অ্যামোনিয়া গ্যাসের দুটি ট্যাংকের মধ্যে একটির সংযোগ ভাল্বে লিকেজ কিংবা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে কারখানায় কর্মরতদের সূত্রে জানা যায়।
জানা গেছে, ড্যাপের দুটি ইউনিটের মধ্যে বন্ধ প্রথম ইউনিটের ট্যাংকটিতেই ঐ দুর্ঘটনা ঘটে। গত কয়েকদিন ধরে কারিগরি ত্রুটির কারণে এই ইউনিটটি বন্ধ রয়েছে। প্রতিটি ইউনিটের ২৪ ঘণ্টায় ৮শ টন ড্যাপ সার উৎপাদন ক্ষমতা থাকলেও বাস্তবে দেড়শ থেকে দুশ টন সার উৎপাদন হয়।
ড্যাপ সার কারখানার উৎপাদন ভাগের কর্মকর্তা দীপু সুলতান জানান, দুর্ঘটনার পর পর অ্যামোনিয়া গ্যাস দ্রুত বাতাসে মিশে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে রাতের শিফটে প্ল্যান্টে কর্মরত লোকজন বেশি আক্রান্ত হয়।
বিডি প্রতিদিন/ ২ ৩ আগস্ট ২০১৬/ সালাহ উদ্দীন