চট্টগ্রামের আনোয়ারায় একটি সার কারখানা থেকে অ্যামোনিয়া গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে অন্তত ৫০ জন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ায় স্থানীয় মানুষের মাঝে এখনও আতঙ্ক রয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অ্যামোনিয়া গ্যাস নিয়ে আতঙ্কের কোন কারণ নেই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের শিক্ষক ড. তাপস দেবনাথ জানিয়েছেন, বাতাসে অ্যামোনিয়া গ্যাসের অস্তিত্ব দীর্ঘস্থায়ী হয় না। এমনকি যদি খুব বেশি পরিমাণে অ্যামোনিয়া গ্যাস শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে শরীরের ভেতরে প্রবেশ না করে তাহলে জীবন নিয়ে কোন ঝুঁকি থাকে না।
অ্যামোনিয়া গ্যাস বাতাসে কতক্ষণ ভাসবে সেটি নীর্ভর করে জলীয় বাস্পের পরিমাণের উপর। বাতাসে জলীয় বাস্পের পরিমাণ বেশি হলে অ্যামোনিয়া গ্যাস দ্রুত মাটিতে নেমে আসে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ড. দেবনাথ আরও বলেন, “যে কোন জিনিস বেশি গ্রহণ করাটা খারাপ। কেউ যদি শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে ১০০% অক্সিজেন গ্রহণ করে সেটাও খারাপ। অ্যামোনিয়া গ্যাস বাতাসের চেয়ে ভারি। সেজন্য এটা দ্রুত মাটিতে নেমে আসে।”
তবে, অ্যামোনিয়া গ্যাস ছড়িয়ে পড়লে সে জায়গায় বেশি পরিমাণে পানি দিলে এই গ্যাস দ্রুত বিলীন হয়ে যায় বলেও তিনি জানান।
গত রাতে চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর পারে অবস্থিত ডাই অ্যামোনিয়াম ফসফেট নামের কারখানা থেকে গ্যাস ছড়িয়ে পড়লে অন্তত ৫০ জনকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সূত্র: বিবিসি
বিডি-প্রতিদিন/২৩ আগস্ট, ২০১৬/মাহবুব