বন ও পরিবেশমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু আবারও জানালেন, বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু ও শীতলক্ষ্যা নদীকে পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। নদীর পানি দূষণ রোধে বর্জ্য নির্গমনকারী সকল কারখানায় বর্জ্য পরিশোধনাগার (ইটিপি) স্থাপন ও পরিবেশগত ছাড়পত্র গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে রবিবার সংসদে ১৬তম অধিবেশনে মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব তথ্য জানান। মন্ত্রী আরো জানান, নদী দূষণ রোধে নৌ পরিবহন মন্ত্রীর নেতৃত্বে বিভিন্ন সরকারী প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সমন্বয়ে একটি ট্রাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। এই টাস্কফোর্স নিয়মিত সভার মাধ্যমে করণীয় নির্ধারণ এবং তা বাস্তবায়নে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকে।
এদিকে, চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম. আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে বন ও পরিবেশ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, ঢাকা শহরে ধূলি দূষণের পরিমাণ পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা ১৯৯৭ এর মানমাত্রা অপেক্ষা তিনগুণেরও বেশি। এই বায়ু দূষণের মাত্রা ও এর উৎস চিহ্নিত করতে সুইডেনের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় পরিবেশ অধিদফতর একটি গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
এতে দেখা যায়, শুষ্ক মৌসুমে ঢাকা শহরে ধূলি দূষণের মাত্রা অত্যধিক। গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী, ঢাকা শহরের এই ধূলি দূষণের অন্যতম উৎস হলো ঢাকার পার্শ্ববর্তী বিদ্যমান ইটভাটা (৫৮ শতাংশ), খোলা অবস্থায় নির্মাণ কার্যক্রম পরিচালনা (১৮ শতাংশ) ও যানবাহনের কারণে দূষিত হয় ১০ শতাংশ।
বিডি-প্রতিদিন/০৯ জুলাই, ২০১৭/মাহবুব