মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বহু নির্বাচনী প্রশ্ন (এমসিকিউ) উঠিয়ে দেওয়ার পক্ষে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, এমসিকিউটা বোধহয় পরিপূর্ণভাবে উঠিয়ে দেওয়া উচিত, এটা আমার ব্যক্তিগত অভিমত।
আমরা নিশ্চিয়ই আগামীতে আপনাদের (শিক্ষাবিদ) সাথে বসব। এবার থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় এমসিকিউ অংশ থেকে ১০ নম্বর কমিয়ে তা সৃজনশীল অংশে যোগ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে নবম-দশম শ্রেণির বিজ্ঞানের ছয়টি বইয়ের পরিমার্জিত সংস্করণ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সোহরাব হোসাইন বলেন, বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান শিক্ষককে যে কোনো উপায়ে কনভিন্স করে ওই কক্ষের সমস্ত ছাত্রছাত্রী যেন ৩০ নম্বর পেতে পারে, সেই ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন। একজনকে বলে দিচ্ছেন, তিনি আবার পাস করে দিচ্ছেন। এটা অর্থের বিনিময়ে হচ্ছে বলে আমাদের কাছে খবর আসছে। আরেকটা ধ্বংস হচ্ছে যে ভুল উত্তর দিচ্ছেন। অনেকগুলো ঘটনা এমন ঘটেছে, সবগুলো বিষয়ে যে ৮০ এর উপরে পেয়েছে, কিন্তু একটা বিষয়ে গিয়ে দেখা গেছে- মূল প্রশ্নে ঠিকমতো পেয়েছে, কিন্তু এমসিকিউতে গিয়ে ৭ পেয়েছে, ৮ পেয়েছে। সেখানে ১০ পাওয়ার বাধ্যবাধকতা আছে।
প্রশ্ন ফাঁস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ নিয়ে সমালোচনা হয়, আমরা জবাব দিতে পারি না। যেমন ধরুন- আমাদের প্রশ্নপত্র নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়, কেউ কেউ এমনও লিখেছেন মন্ত্রী, সচিব, উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন আউট করে দিচ্ছেন।
বোর্ডের চেয়ারম্যানেরও প্রশ্নপত্র দেখার সুযোগ থাকে না জানিয়ে সোহরাব হোসাইনের ভাষ্য, শিক্ষকরাই প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকেন।
পরীক্ষার হলে তাৎক্ষণিকভাবে প্রশ্নপত্র ছাপিয়ে পরীক্ষা নেওয়া যায় কি না- সে বিষয়ে ভাবা হচ্ছে জানিয়ে সচিব বলেন, এতেও শিক্ষাবিদদের সহযোগিতা নিতে হবে।
বিডি-প্রতিদিন/১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭/ওয়াসিফ