বলিউডে অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াতকে বলা হয় ‘বিতর্কের রানি’। তিনি মুখ খুললেই যেন সৃষ্টি হয় বিতর্ক। ‘ঠোঁট কাটা’ স্বভাবের এই নায়িকা ছেড়ে কথা বলেন না কাউকেই। স্পষ্ট কথার জন্য বরাবরই আলোচনায় থাকেন তিনি। এবার তিনি মুখ খুললেন বিবাহিত পুরুষদের সঙ্গে সম্পর্কের অভিযোগ আর সেই প্রেক্ষিতে নারীদের দোষারোপের প্রবণতা নিয়ে।
তিনি বলেন, বিবাহিত পুরুষরা সম্পর্ক জড়ালেও দোষ শুধু নারীদেরই হয়। সমাজ সব সময় নারীদের দোষারোপ করতে পছন্দ করে। সম্প্রতি ‘হাউটারফ্লাই’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি।
কঙ্গনা বলেন, যখন আপনি তরুণ এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষী, আর একজন বিবাহিত পুরুষ আপনার প্রতি আগ্রহী হয়, তখন সেই সম্পর্কে জড়ানোর জন্য শুধু আপনাকেই দোষী ভাবা হয়।
তিনি আরও বলেন, এটা পুরুষের দোষ নয়। মানুষ সব সময় পরিস্থিতিটির জন্য একজন মহিলাকে দায়ী করার চেষ্টা করে। ধর্ষণের শিকার নারীদেরও তাদের পোশাক বা রাতে বাইরে থাকার জন্য দায়ী করা হয়। এগুলি আসলে ভুল মানসিকতার প্রতিফলন।
কয়েক বছর আগে কঙ্গনা অভিযোগ আনেন, তরুণী থাকা অবস্থায় অভিনেতা আদিত্য পাঞ্চোলির সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে। সে সময় আদিত্য বিবাহিত ছিলেন এবং তার সন্তানও ছিল। ২০১৯ সালে কঙ্গনা সেই আদিত্যের বিরুদ্ধে হেনস্তা ও ধর্ষণের অভিযোগ আনেন, মামলা করেন। এরপরও ঘুরে ফিরে দোষ বর্তায় কঙ্গনার ওপর। নিজের সঙ্গে ঘটে যাওয়া সেই ঘটনাও উল্লেখ করেন কঙ্গনা।
কঙ্গনা জানান, ১৭ বছর বয়সে তিনি আদিত্যের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। তিনি আদিত্যের স্ত্রী জারিনা ওয়াহাবের কাছেও সাহায্য চেয়েছিলেন।
তিনি বলেন, বলেছিলেন, “এটা আমার জন্য খুব কঠিন এবং কঠোর সময় ছিল। আমার ওপর শারীরিক অত্যাচার করা হয়েছিল। আমি মনে করেছিলাম, মানুষ আমাকে সাহায্য করবে। কিন্তু একজন নারীর অবস্থানে থাকায় আমাকে একরকম ফাঁদে ফেলা হয়।
২০০৬ সালে ‘গ্যাংস্টার’ ছবির মাধ্যমে কঙ্গনার বলিউডে অভিষেক হয়। এরপর তিনি ‘ওহ লামহে’ (২০০৬) এবং ‘লাইফ ইন এ মেট্রো’ (২০০৭) ছবিতে অভিনয় করেন। সম্প্রতি অভিনেত্রী তার পরিচালিত, প্রযোজিত এবং লেখা ছবি ‘ইমার্জেন্সি’-তে অভিনয় করেছেন।
বিডি প্রতিদিন/নাজিম