শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, পর্যায়ক্রমে সকল পাঠ্যবই নির্ভুল ও সুখপাঠ্য করে শিক্ষার মান উন্নয়নে চেষ্টা অব্যাহত রাখতে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে শিক্ষার্থীরা যাতে নির্ভুল ও পরিমার্জিত পাঠ্যবই পায় তার চেষ্টা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে নবম-দশম শ্রেণির ৬টি পাঠ্য বইয়ের পরিমার্জিত কপি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের কাছে এই বইগুলো অনেক আকর্ষণীয় ও সহজপাঠ্য হবে। বইয়ের মান উন্নয়নের ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
তিনি বলেন, ‘নতুন পরিমার্জিত বইগুলো আগামী বছর শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া হবে। পর্যায়ক্রমে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত অন্যান্য বইয়ের মানও বাড়ানো হবে।’
নবম-দশম শ্রেণির পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত, উচ্চতর গণিত, জীববিজ্ঞান ও সাধারণ বিজ্ঞান বিষয়ের ১২টির বইয়ের মধ্যে ৬টি পাঠ্য বইয়ের পরিমার্জিত কপি মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জন টিমের সদস্যরা সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের কাছে এসব বইয়ের কপি হস্তান্তর করেন।
এসময় পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জন কমিটির সদস্য ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদসহ ২২ সদস্য টিমের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সরকার নির্ভুল পাঠ্য বই প্রণয়নে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সমন্বয়ে এই কমিটি গঠন করেছে।
অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, অতিরিক্ত সচিব ও পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জন কমিটির সমন্বয়ক চৌধুরী মুফাদ আহমদ, সদস্য ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর নারায়ন চন্দ্র সাহা বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রীর হাতে বইগুলোর সিডিও তুলে দেয়া হয়।
বিডি প্রতিদিন/১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭/এনায়েত করিম