শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক বলেছেন, দীর্ঘমেয়াদে তামাক নিয়ন্ত্রণে আইন বাস্তবায়নের পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সেমিনার কক্ষে বেসরকারি সংগঠন ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট্রের উদ্যোগে ‘দীর্ঘস্থায়ী তামাক নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ এবং করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
মুজিবুল হক বলেন, তামাক বা ধুমপান নিয়ন্ত্রনে দেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করেছে। শিক্ষিত লোকদের মধ্যে ধুমপানের প্রবনতা কমে গেছে।
তিনি বলেন, পরিবহন, অফিস আদালতে প্রকাশ্যে ধুমপান নেই বললেই চলে। সবাই তামাক ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে বেশি বেশি জানছে। মানুষ আগের থেকে এখন অনেক সচেতন। দীর্ঘ মেয়াদে অবশ্যই তামাকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে আসবে।
সেমিনারে জানানো হয় বিশ্বে তামাক ব্যবহারে সর্বোচ্চ ৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৫ নম্বরে এবং প্রাপ্ত বয়স্ক লোকেদের মধ্যে ৪৩.৩ শতাংশ তামাক ব্যবহার করে।
বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের উপদেষ্টা মোজাফ্ফর হোসেন পল্টুর সভাপতিত্বে এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক খন্দকার রাকিবুর রহমান, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সমন্ময়ক মুহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) চেয়ারম্যান আবু নাসের খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের কর্মসূচি ব্যবস্থাপক সৈয়দা অনন্যা রহমান।
বিডি প্রতিদিন/১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭/এনায়েত করিম