সদ্য বহিষ্কৃত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী ওরফে সম্রাটের প্রেসার খুব লো হয়ে যওয়ায় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় কারাগার (কেরানীগঞ্জ) জেলার মাহবুবুল ইসলাম।
ভ্রাম্যমাণ আদালত বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে সম্রাটকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়ায় সম্রাটকে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সূর্যমুখী সেলে রাখা হয়।
জেলার মাহবুবুল ইসলাম জানান, ভোরে ওই সেলে থাকা অবস্থায় সম্রাটের বুকে ব্যথা শুরু হয়। এমনিতেই আগে তার আগে থেকেই শারীরিক অবস্থা খারাপ ছিল। তখন আমাদের কারা চিকিৎসকরা দ্রুত তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। চিকিৎসা নেওয়ার সময় সম্রাটের প্রেসার খুবই লো দেখাচ্ছিল। পরে দ্রুত আমরা কারাগারের মাইক্রোবাসযোগে কারারক্ষীদের প্রহরায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
‘প্রথমে হাসপাতালে নিয়ম অনুযায়ী জরুরি বিভাগ থেকে তার নাম দিয়ে একটি টিকিট কাটা হয়। পরে জরুরি বিভাগে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে, তিনি দ্রুত নতুন ভবনের তিনতলায় কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) রেফার করেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা রোগীর সঙ্গে কথা বলেন এবং প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদের নির্দেশক্রমে হৃদরোগ ইনস্টিটিউট নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক তার অবস্থা দেখে দ্রুত ভর্তি নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া শুরু করেন।’
তিনি আরও জানান, রবিবার রাত সাড়ে ৮দিকে কারাগারে সম্রাটকে রিসিভ করা হয়। তিনি আমদানিতে সারারাত ছিলেন। পরদিন সকালে তাকে সূর্যমুখী সেলে নেওয়া হয় ও কারাবিধি অনুযায়ী কারাগারে প্রবেশের পরপরই তার দেহ তল্লাশি করা হয়।
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক ডা. আফজালুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, সম্রাটের বুকের একটি বাল্ভ আগে থেকে রিপ্লেসমেন্ট ছিল। সে কারণে তিনি কারাগারে ভেতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। আমরা তার বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা করাচ্ছি। তবে, তিনি এখন ভালো আছেন।
বিডি প্রতিদিন/কালাম