ভারত পিয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ার পর বাংলাদেশ যে কয়টি দেশ থেকে এই পণ্যটি আমদানি করছে তার মধ্যে একটি মিয়ানমার। প্রতিবেশী হওয়ার কারণে সেখানকার পিয়াজ অপেক্ষাকৃত কম মূল্যে বাংলাদেশের বাজারে আনা সম্ভব। কিন্তু সেখানেও হঠাৎ করে পিয়াজের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আর এক্ষেত্রে অভিযোগের তীর বাংলাদেশের পিয়াজ সিন্ডিকেটের দিকে। অভিযোগ, তারা মিয়ানমারের পিয়াজের বাজারও নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, চট্টগ্রাম ও টেকনাফের পিয়াজ সিন্ডিকেট সদস্যরাই বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের বন্দর শহর মংডুর সিন্ডিকেটের সঙ্গে বাজার মূল্য নিয়ে সখ্য গড়ে তুলেছে। এবং তারাই নাকি স্বদেশের সরকারকে বিপাকে ফেলতে মিয়ানমারের সিন্ডিকেট সদস্যদের পিয়াজের দাম বাড়াতে উস্কানি দিয়েছে।
এ ব্যাপারে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর এবং গুরুত্বপূর্ণ। তাই জরুরিভাবে তদন্ত করে এ রকম দেশবিরোধী কাজে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আকস্মিক মিয়ানমারের বন্দর শহর মংডুতে পিয়াজের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ার পর পরই এপারের সিন্ডিকেট সদস্যদের ওপারে দাম বাড়ানোর উস্কানির বিষয়টি সীমান্ত এলাকায় চাওর হয়ে পড়েছে। অভিযোগ উঠেছে, চট্টগ্রাম ও টেকনাফের কতিপয় সিন্ডিকেট সদস্য মিয়ানমারের পিয়াজ বিক্রেতাদের দাম বাড়ানোর জন্য পরামর্শ দিয়েছেন। সীমান্ত এলাকায় এমন ‘স্পর্শ কাতর’ বিষয়টিই এখন লোকেমুখে আলোচনা হচ্ছে।
গতকাল টেকনাফ ও মিয়ানমারের বন্দর শহর মংডুতে দফায় দফায় যোগাযোগ করে জানা গেছে, দুই সপ্তাহ আগেও মিয়ানমারের মংডু শহরের বাজারে পিয়াজের দাম ছিল এক বিস্তায় (১৭৫০ গ্রাম) ১২০০ কিয়েত (মিয়ানমার মুদ্রা)। সেই হিসাবে বাংলাদেশি টাকায় প্রতি কেজির পিয়াজের দাম ছিল ৪০ টাকা। কিন্তু বুধবার মিয়ানমারের মংডু শহরে পিয়াজের এক বিস্তার দাম ছিল ৩৪০০ কিয়েত (বাংলাদেশি এক টাকার বিনিময়ে মিয়ানমারের ১৭ টাকা)। সেই হিসাবে পিয়াজের দাম কেজিতে বিক্রি হয় বাংলাদেশি ১১৫ টাকায়।
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব