৩ জুন, ২০২০ ১৫:৪১

'করোনা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিসে আসতে হবে না'

অনলাইন ডেস্ক

'করোনা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিসে আসতে হবে না'

ফরহাদ হোসেন (ফাইল ছবি)

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণের অতি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা বা রেড জোনে থাকা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিসে আসতে হবে না বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। বুধবার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে বলেছি, ২৫ শতাংশের বেশি কর্মকর্তাদের অফিসে আসার দরকার নেই। বাকিরা বাসায় থেকে কাজ করবেন। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী যারা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা বা রেড জোনে বসবাস করেন তাদের আপাতত সচিবালয়ে আসার দরকার নেই।’

করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বিবেচনা করে রেড, ইয়োলো ও গ্রিন জোন চিহ্নিতের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আপাতত ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুরকে আমরা রেড জোন বলছি। আবার ঢাকারও পুরোটা রেড জোন হয়তো হবে না। এখানে সংক্রমণের হার কম বেশি রয়েছে। রেড জোনকেও ছোট ছোট এলাকায় ভাগ করা হবে। তা না হলে তো কার্যক্রম থমকে যাবে।’

তিনি বলেন, ‘কোথায় কতজন আক্রান্ত আছে সেটা ম্যাপিং করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ একটি ম্যাপ জমা দিয়েছে। প্রতিদিন পরিস্থিতির সঙ্গে ম্যাপও পরিবর্তন হবে। আক্রান্ত পরিস্থিতি অনুযায়ী ম্যাপের বিভিন্ন এলাকা রেড হবে, ইয়োলো হবে, গ্রিন হবে। সফটওয়্যারটা রেডি। এখন ডিসিশনটা নিয়ে আজ-কালকের মধ্যে বাস্তবায়ন কাজ শুরু হয়ে যাবে।’

তিনি বলেন, অফিস চালু রাখার ক্ষেত্রে আরও কিছু দিক-নির্দেশনা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়-বিভাগগুলোকে দেয়া হয়েছে। লিফটের বিষয়ে বলেছি, আপাতত লিফটে ওঠার দরকার নেই। এটা করছি যাতে আমরা সংক্রমণ ঝুঁকিটা রোধ করতে পারি।’

তিনি বলেন, ‘লিফটম্যান, এমএলএসএসসহ তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের সচিবালয়ে একেবারে কম ডাকা হচ্ছে। বুঝে তাদের ডাকা হচ্ছে। তারাই বিভিন্নভাবে (করোনাভাইরাস) ক্যারি করছে। অনেকেই ঘনবসতিপূর্ণ ও অতটা সচেতন নয়, এমন এলাকা থেকে আসে। যার কারণে ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে।’

‘তবে অফিস চালাতে তাদেরও আমাদের প্রয়োজন। ভালো জায়গায় থাকেন-এমন কাউকে হয়তো আসতে বলা হচ্ছে। ঝুঁকিতে যারা আছেন আমরা তাদের ডাকছি না। এমনিতেই বয়স্ক, অসুস্থ ও সন্তানসম্ভবা নারীদের আসা নিষেধ।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের মুভমেন্ট হলে করোনা সংক্রমণ আরও বাড়বে। বিভিন্ন স্টেজ আছে, আস্তে আস্তে ছড়াতে ছড়াতে শেষের দিকে হয়তো বেশি ছড়াবে। এর চেয়েও সামনে বাড়বে হয়তো। বেড়ে আবার নামা শুরু করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ১৫টি দিন দিয়েছি। আজ চতুর্থ দিন যাচ্ছে। প্রথম দিনের চেয়ে আরও কম সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ে অফিস করছি। আমাদের মেসেজটা অলরেডি সব জায়গায় পৌঁছে গেছে। অফিস টাইমটাও খুবই ফ্লেক্সিবল। যার যখন কাজ শেষ হবে দ্রুত চলে যাবে। যদি কেউ দুই ঘণ্টায় কাজ শেষ করতে পারে সে চলে যাবে। যদি না এসে বাসায় বসে করতে পারে করে দেবে। কোনো কিছু আটকাবে না। কিন্তু মুভমেন্টটা কম থাকবে।’

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে তো চতুর্থ দিন। হাতে আরও ১১টি দিন সময় আছে। আমরা এর মধ্যে একটা হ্যাভিড ফরমেশন করে ফেলতে চাই। যাতে আমাদের কেউই এখানে আক্রান্ত না হয়।’

উল্লেখ্য, দেশে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি না হলেও গত ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত নানা নির্দেশনা মানা সাপেক্ষে সরকারি অফিস খুলে দেয়া হয়েছে।

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর