পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম বলেছেন, গত এপ্রিল মাস হতে বন্যা পরিস্থিতি নজরদারি করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কোথাও বন্যা হলেও ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ যাতে কমিয়ে আনা যায়, সে বিষয়েও নজরদারি আছে। বন্যার ক্ষয়-ক্ষতি মোকাবেলায়ও সরকারের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। যার কারণে কোথাও বন্যা হলেও ক্ষতি পরিমান কম হবে ইনশাল্লাহ।
তিনি বলেন, বন্যা কবলিত ও ভাঙন এলাকায় সমন্বিতভাবে কাজ করছে সরকার। সেখানে ত্রাণ সহায়তার পাশাপাশি চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা হচ্ছে। সরকার বন্যা দুর্গতদের পাশে রয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারে থাকা অবস্থায় একটি মানুষও না খেয়ে থাকবে না।
আজ বুধবার সচিবালয়ে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে সারাদেশের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি সভায় এসব কথা বলেন উপমন্ত্রী বলেন।
সভায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগ দিয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। প্রধান প্রকৌশলী থেকে নির্বাহী প্রকৌশলী পর্যন্ত সকলকে নিষ্ঠার সাথে কাজ করাসহ সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এমপি।
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বন্যার সর্বশেষ পরিস্থিতি প্রতিনিয়ত খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। আমাদের মন্ত্রণালয় এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের সার্বক্ষণিক মনিটরিং সেল চালু করা হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তারা ২৪ ঘণ্টা কাজ করছেন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দফতরগুলোও কাজ করছে। সরকার সমন্বিতভাবে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় কাজ করছে, যাতে একটি মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
এনামুল হক শামীম বলেন, গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণ আর ঢলে কিছু এলাকায় পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যা দেখা দিয়েছে। তবে এসব এলাকা আগে চিহ্নিত করা থাকায় প্রশাসন প্রস্তুত ছিল এবং সে অনুযায়ী কাজ চলছে। ফরিদপুরসহ কয়েকটি স্থানে বাঁধ ভেঙে গেছে, সেখানেও তাৎক্ষণিকভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত