২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২১:২৭

শুক্রবার হাসপাতালে ডাক্তার না থাকার পক্ষে সাফাই স্বাস্থ্য মহাপরিচালকের

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

শুক্রবার হাসপাতালে ডাক্তার না থাকার পক্ষে সাফাই স্বাস্থ্য মহাপরিচালকের

শুক্রবার সরকারি ছুটির দিনে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কোনো বড় কিংবা মিড লেভেলের ডাক্তার থাকেন না। শুক্রবার তারা বাইরে দুইবেলা প্রাইভেট প্র্যাকটিসে ব্যস্ত থাকেন। এ কারণে সেবা থেকে বঞ্চিত হয় রোগীরা। এটা রেওয়াজে পরিণত হয়েছে শের-ই বাংলা মেডিকেলে। এই রেওয়াজকে এবার অনেকটা প্রতিষ্ঠিত করে গেলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। 

শনিবার বরিশালের শিল্পকলা একাডেমিতে সম্মিলিত কোভিড ব্যবস্থাপনা ‘বরিশাল মডেল’ শীর্ষক এক সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।

সেমিনার শেষে বিকেলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য মহাপরিচালক বলেন, শুক্রবার হাসপাতালে ডাক্তার থাকে না কথাটা ঠিক নয়। শুক্রবার জুনিয়র ডাক্তাররা থাকে। সিনিয়র ডাক্তারা অনকলে থাকবে। সিনিয়র ডাক্তাররা সারাক্ষণ হাসপাতালে থাকবে না। মিড লেভেলের ডাক্তারাও শুক্রবার হাসপাতালে থাকবে না। ওইখানে থাকবে জুনিয়র ডাক্তাররা। যারা ইন্টার্ন, যারা ট্রেনিং করছে তারা থাকবে সেখানে। কিন্তু অনকলে আসবেন ডাক্তাররা, যখন যাকে লাগবে তারা অনকলে আসবে। এটাই সারা দেশে চলছে। এ বিষয়ে অন্যান্য জায়গায়ও খোঁজ নিতে অনুরোধ করেন স্বাস্থ্য মহাপরিচালক। 

এ সময় সেখানে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, বিভাগীয় কমিশনার মো. সাইফুল হাসান বাদল, স্বাস্থ্য বিভাগীয় পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস, শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম, মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান, জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার, সিভিল সার্জন ডা. মো. মনোয়ার হোসেনসহ বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

এদিকে, শুক্রবার হাসপাতালে ডাক্তার থাকবে না বলে স্বাস্থ্য মহাপরিচালকের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বরিশাল সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) সভাপতি অধ্যাপক শাহ্ সাজেদা। 

তিনি বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনেক দুর্নীতি আছে। শুক্রবার হাসপাতালে ডাক্তার না থাকাও তার মধ্যে একটা দুর্নীতি। 

তিনি আরও বলেন, শের-ই বাংলা মেডিকেলের অনেক ডাক্তার শুক্রবার বরিশালের বাইরে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতে যান। জরুরি হলে কিংবা অনকলে তারা আসবে কি করে। আগে ডাক্তাররা হাসপাতাল ফেলে অনেকটা লুকিয়ে বাইরে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতেন। তাদের মধ্যে ডর-ভয় থাকতো। এখন মহাপরিচালকের এই বক্তব্যে ডাক্তাররা আরও উৎসাহিত হবেন সরকারি বন্ধের দিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকতে। তাদের ভয়-ডর এখন কেটে যাবে। ডাক্তারদের পক্ষে এভাবে সাফাই গাওয়া তার সমীচীন হয়নি। তিনি মহাপরিচালকের ওই বক্তব্য প্রত্যাহার করে সার্বক্ষণিক হাসপাতালে ডাক্তার রাখার ঘোষণা দাবি করেন। 

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর