১৭ জানুয়ারি, ২০২২ ১৭:০৯

বিচারপতি টি এইচ খানের মৃত্যুতে বিএনপির শোক

অনলাইন ডেস্ক

বিচারপতি টি এইচ খানের মৃত্যুতে বিএনপির শোক

তোফাজ্জাল হোসেন খান

সাবেক মন্ত্রী, বিচারপতি তোফাজ্জাল হোসেন খানের (বিচারপতি টি এইচ খান) মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

রবিবার বিকেল ৫টায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বিচারপতি টি এইচ খান।

এক শোকবার্তায় বিএনপির মহাসচিব বলেন, মরহুম টি এইচ খান ছিলেন এ দেশের বরেণ্য আইনজীবী ও খ্যাতিমান রাজনীতিবিদ। সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রাজনীতিতে উদ্বুদ্ধ হয়ে বিএনপির জন্মলগ্ন থেকে তিনি সক্রিয় ছিলেন। দীর্ঘ জীবনে তিনি আইন পেশার পাশাপাশি বিচারক হিসেবেও সব মহলে অত্যন্ত শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি ছিলেন। তিনি রাজনীতিবিদ হিসেবে মন্ত্রী, সংসদ সদস্যসহ রাষ্ট্রীয় প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি ছিলেন অত্যন্ত উদার, সজ্জন ও বিনয়ী স্বভাবের মানুষ। জনকল্যাণের মহান লক্ষ্য নিয়ে রাজনীতি করতেন বলেই তিনি এলাকাবাসীর কাছে ছিলেন অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন ও পরম আপনজন। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হয়ে তিনি এলাকার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। আইনের শাসন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতাসহ মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি যে ভূমিকা পালন করেছেন তা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

মহাসচিব বলেন, ন্যায়পরায়ণ বিচারপতি হিসেবেও টি এইচ খানের সুখ্যাতি ছিল সর্বজনবিদিত। তিনি ছিলেন একজন সৎ, কর্তব্যপরায়ণ এবং আদর্শনিষ্ঠ ব্যক্তি। দেশের যে কোন সংকট মোকাবিলায় তিনি সাহসী ভূমিকা পালন করতেন। বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী দর্শনকে বুকে ধারণ করে তিনি স্বদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার অঙ্গীকারে বিএনপিকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

মহাসচিব আরও বলেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মন্ত্রিসভার মন্ত্রী হিসেবে দেশের উন্নয়নে এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সহকর্মী হিসেবে গণতন্ত্রে উত্তরণে তার গৌরবময় অবদান দেশবাসী ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে। তার ইন্তেকালে আমি গভীরভাবে শোকাহত হয়েছি। আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গ, গুণগ্রাহী, সহকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।

বাংলাদেশের রাজনীতি, আইন ও বিচার বিভাগে এক অনন্য নাম বিচারপতি টি এইচ খান। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মন্ত্রিসভার মন্ত্রী হিসেবে বিচারপতি টি এইচ খান দেশগঠনে সফলতার স্বাক্ষর রাখেন। এ ছাড়া প্রাজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ান বিচারপতি টি এইচ খান ময়মনসিংহ-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে এলাকার উন্নয়নে প্রভূত অবদান রাখেন। তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করতেন বলেই বিএনপির রাজনীতিতে যোগ দিয়ে দলের সব কর্মসূচি বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের অধিকারী মরহুম টি এইচ খান সংকীর্ণতার অনেক ঊর্ধ্বে উঠে দেশ ও দেশের স্বার্থে যে ভূমিকা পালন করেছেন তা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাতের পর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আন্দোলনে অংশগ্রহণ ও আইনী লড়াই চালিয়েছেন। দেশের বিভিন্ন ক্রান্তিকালেও তিনি দলের নীতি, আদর্শ ও কর্মসূচি পালন থেকে ন্যুনতম বিচ্যুৎ হননি। আমি তার রুহের মাগফেরাত কামনা করছি এবং শোকবিহব্বল পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।

বিচারপতি টি এইচ খানের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।

তিনি বিচারপতি টি এইচ খানের রুহের মাগফিরাত কামনার পাশাপাশি শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যবর্গ, আত্মীয়স্বজন, গুণগ্রাহী এবং শুভাকাঙ্খীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর