অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, আইএমএফ বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ ধারণ সক্ষমতার উপর ২০৩২ সাল পর্যন্ত বিশ্লেষণ করেছে, যা মার্চ ২০২২ আইএমএফ কর্তৃক প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদন হতে দেখা যায়ে যে, ২০৩২ সাল পর্যন্ত দেশীয় ঋণসহ বৈদেশিক ঋণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্থনীতি ঝুঁকিমুক্ত।
জাতীয় সংসদের ২১তম অধিবেশনের চতুর্থ দিন মঙ্গলবার টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে বেগম লুৎফুন নেসা খানের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। এসময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদে সভাপতিত্ব করছিলেন। প্রশ্নকর্তা জানতে চান, বৈদেশিক ঋণ জিডিপির শতকরা কত হলে দেশের অর্থনীতি ঝুঁকিতে পড়ে; বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ ও জিডিপির অনুপাত কত ও এটা অর্থনীতিকে ঝুঁকিতে ফেলেছে কিনা?
অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল সংসদকে জানান, বিশ্বব্যাংক এবং ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ড (আইএমএফ) সামষ্টিক অর্থনীতি ও অন্যান্য বিষয়োদি বিশ্লেষণের মাধ্যমে দেশের বৈদেশিক ঋণের ঝুঁকিসীমা নির্ণয় করে থাকে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংক এবং ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ড (আইএমএফ) এর মতে বৈদেশিক ঋণ জিডিপির ঝুঁকিসীমা সর্বোচ্চ ৪০%। বিগত ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গৃহীত বৈদেশিক ঋণ জিডিপির ১৩.৭৮%।
২০১৬-১৭ থেকে ২০২১- ২২ অর্থবছর পর্যন্ত বৈদেশিক ঋণ জিডিপির শতকরা হারের তুলনামুলক চিত্র তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী জানান, পরিসংখ্যান থেকে দেখা যাচ্ছে যে, বৈদেশিক ঋণ জিডিপির শতকরা হার অনুযায়েী বাংলাদেশ ঝুঁকি সীমার অনেক নীচে অবস্থান করছে। বৈদেশিক ঋণ ও জিডিপির শতকরা হার এবং ঋণের সাবসটেইনেলিবিটি বিশ্লেষণপূর্বক দেখা যায়ে যে, বৈদেশিক ঋণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্থনীতি ঝুঁকিমুক্ত ও সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে। মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে বড় কোনো ঝুঁকির আশঙ্কা নাই।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল