আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেছেন, ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নিয়ে বিএনপি বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে চায়। কিন্তু আমরা তাদের বলে দিতে চাই, এদেশে সাংবিধানিক ধারা অব্যাহত থাকবে। এর বাইরে অসাংবিধানিক ধারা ও পন্থা এদেশে চলবে না।
বুধবার বিকালে রাজধানীর শাহবাগে অবস্থিত জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টির প্রতিবাদে’ আয়োজিত এক সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘কেন্দ্রীয় ১৪ দল’ এ সমাবেশের আয়োজন করে।
বাংলাদেশের অগ্রগতি বিএনপির সহ্য হচ্ছে না মন্তব্য করে আমির হোসেন আমু বলেন, ১৯৭৫ সালে যারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেছিল, যারা দেশের উন্নয়নের চাকা ঘুরিয়ে দিয়ে এদেশকে নব্য পাকিস্তান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার পাঁয়তারা করেছিল, সেই একই চক্রান্ত বর্তমানে তারা আবারও করছে। গণতন্ত্র ও নির্বাচনের নামে বিভিন্ন ধুয়া তুলে এদেশের নির্বাচনী গণতান্ত্রিক ধারাকে ব্যাহত করার চক্রান্ত চলছে। এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের সোচ্চার হতে হবে। এ সময় আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ জয় ছিনিয়ে আনার ঘোষণাও দেন তিনি।
এদিকে, সমাবেশে ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের সফরকারী ও যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ঢাকায় এসে কাদের সঙ্গে আলাপ করলো? হ্যাঁ, বুঝলাম তারা আওয়ামী লীগ, বিএনপি এবং জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলাপ করেছে। কিন্তু তারা হাইকোর্টের রায়ে যুদ্ধাপরাধী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত নিবন্ধনবিহীন জামায়াতের সঙ্গে তারা আলাপ করেছে। এছাড়া বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নির্বাচন কমিশনে গিয়ে নির্বাচন কমিশনারের কাছে যেন জবাবদিহি করেছেন। তার প্রশ্নে মনে হয়েছে যেন প্রভু এসেছেন আমাদের দেশে। মেনন বলেন, বিএনপি জনগণের স্বতস্ফূর্ত ভোটে নয়, বরং তাদের জিম্মি করে ক্ষমতায় আসতে চায়। এজন্য তারা তাদের বন্ধু নয়, বরং প্রভু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওপর নির্ভর করছে।
সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া বলেন, মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের ওপর নির্ভর করছে বিএনপি-জামায়াত। তারা মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে এদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার শিরীন আখতার বলেন, সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বেই নির্বাচনকালীন সরকার থাকবে। একইসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ থেকে বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে হবে।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) আহ্বায়ক রেজাউর রশিদ খান, গণ-আজাদী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এস কে শিকদার, জাতীয় পার্টি-জেপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল খায়ের সিদ্দিকী আবু, তরিকত ফেডারেশনের ভাইস-চেয়ারম্যান সৈয়দ তৈয়বুল বশর মাইজভান্ডারী, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান প্রমুখ।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল