নারায়ণগঞ্জ -১ রুপগঞ্জের চানপাড়ার সপনা আক্তার নামে এক নারী স্থানীয় সংসদ সদস্য বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর এক পথসভায় বলেছেন, যেভাবে আমাদের নেতারা দিকনির্দেশনা দিয়েছে আমরা সেভাবে কাজ করব। আমাদের কেন্দ্র হচ্ছে গাজী বিশ্ববিদ্যালয়, এখানে ২ হাজার ৯৮৫ ভোট আছে। এখান থেকে ১০টা ভোট যাতে কোনো দিকে না যায় আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করব। আমাদের এখান থেকে যদি ১০টা ভোট অন্যদিকে যায়, নির্বাচনের পর ওই দশজন বিএনপি রাজাকারকে আমরা চিহ্নিত করব।
সপনা আক্তারের ফেসবুকে দেওয়া ভিডিওতে এমন বক্তব্য পাওয়া যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কাইতপাড়া ইউনিয়নের সপনা আক্তার রাজনীতিতে আসার আগে ২০০৮ সালে মনোরঞ্জন ভিসায় দুবাইয়ে পাড়ি জমান। সেখান থেকে ২০১২ সালে ফিরে আসেন বাংলাদেশে। রূপগঞ্জের সংসদ সদস্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর সঙ্গে রাজনীতি শুরু করেন। সেখান থেকে পরিচয় হয় রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের সঙ্গে। এলাকায় মাদক সম্রাজ্ঞী হিসেবে পরিচিত তিনি। দুই ভাই-বোনকে দিয়ে গড়ে তুলেছেন মাদক সাম্রাজ্য। সপনা আক্তারের বড় বোন সুরমা আক্তার এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে আছে মাদকের বেশ কিছু মামলা। এসব মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন কয়েকবার। কিন্তু সহজেই সপনা আক্তারের মাধ্যমে গোলাম দস্তগীর থেকে ও রংধনুর চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের হস্তক্ষেপে ছাড়া পেয়েছেন বারবার।
সপনা আক্তারের ছোট ভাই মাইনুদ্দিন এলাকার সিচকে চুরি থেকে শুরু করে এখন মাদক ব্যবসা করে অর্থের মালিক বনে গেছেন। মাইনুদ্দিনের বিরুদ্ধে আছে বেশ কিছু মাদক ও ডাকাতির মামলা। সপনা আক্তারের ছোট ভাই মইনুদ্দিন এলাকায় কয়েক দফা মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মারামারিতে জড়ানোর ঘটনার মামলায় গ্রেফতার হন। কিন্তু বারবারই সপনা আক্তার গোলাম দস্তগীর গাজী ও আন্ডা রফিকের সহায়তায় তাকে জেল থেকে বের করে।
জেল থেকে বেরিয়ে আবারও এসব মাদক অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন তারা। সপনা আক্তারের বাবা সাত্তার পাগলা এলাকায় ছিলেন পকেটমার। সারাদিন গাঁজা খেতেন তিনি।
সপনা আক্তারের নিজের ঘরের মধ্যে ফেনসিডিল খেলে জনপ্রতি তাকে দিতে হয় ১৫০ টাকা। প্রতিদিন শতশত মাদকসেবী তার বাড়িতে সারারাত ভিড় জমান। আর মাদক থেকে কমিশনের টাকা যায় স্থানীয় সংসদ সদস্য বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর পকেটেও। স্থানীরা বলছেন, টাকা তোলেন গাজীর ছেলে গোলাম মোস্তফা পাপ্পা।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল