সিলেটে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন বিভিন্ন হাসপাতালের নার্স-ব্রাদার্স। গতকাল বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত তারা মহানগরের চৌহাট্টা পয়েন্টে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ ও অবস্থান করেন তারা। পরে জেলা প্রশাসকের আশ্বাসে কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।
জানা যায়, এম এ জি ওসমানী মেডিকেলসহ সিলেটের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে নিয়োগ পাওয়া ‘ভুয়া’ নার্স-ব্রাদার্সের অপসারণের দাবিতে এ আন্দোলন করছেন বিভিন্ন হাসপাতালের সিনিয়র নার্স-ব্রাদার্স ও নার্সিং কলেজ থেকে পাস করা সেবক-সেবিকারা। তাদের অভিযোগ- গত সরকারের আমলে অনেক নার্স মাত্র ছয় মাস প্রশিক্ষণ করেই দলীয় প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়োগ পেয়েছেন। কিন্তু দায়িত্ব পালনকালে তারা অনেক ভুল করেন। যার দায়ভার নিতে হয় সিনিয়র নার্সদের। বিকাল ৩টা পর্যন্ত চৌহাট্টা পয়েন্টে হাজারো নার্স-ব্রাদার জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন। এ সময় বন্দরবাজার-আম্বরখানা ও মিরবক্সটুলা-রিকাবিবাজার সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীসাধারণ ও পথচারীরা। বিকাল সোয়া ৩ টার দিকে আন্দোলনস্থলে আসেন সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতা আরিফুল হক চৌধুরী। তিনি আন্দোলনকারীদের শান্ত করে সড়ক অবরোধ প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে তাদের একটি প্রতিনিধি দলকে সিলেট জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসানের কার্যালয়ে নিয়ে যান। বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন জেলা প্রশাসক। বৈঠকে জেলা প্রশাসক আন্দোলনকারীদের কাছে নিয়োগপ্রাপ্ত ‘ভুয়া’ নার্স-ব্রাদার্সের তালিকা চান। তালিকা দিলেই ২-১ দিনের মধ্যে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন। তাঁর আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করেন নার্স-ব্রাদার্সরা।
আন্দোলনকারীদের অন্যতম সমন্বয়ক সিলেট বেগম রাবেয়া খাতুন নার্সিং কলেজ থেকে উত্তীর্ণ হওয়া ফয়েজ আহমদ বলেন- আমরা কয়েকটি দাবি পেশ করেছি। প্রধান দাবি হচ্ছে- ওসমানী মেডিকেলসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসাপাতালে নিয়োগ পাওয়া ‘ভুয়া’ নার্স-ব্রাদার্সদের অপসরারণ করতে হবে। জেলা প্রশাসক আমাদের শীঘ্রই কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেওয়ায় আন্দোলন স্থগিত করেছি, দাবি আদায় না হলে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেব।