রানওয়ে সংস্কার কাজ চলায় দুবাইয়ের বিভিন্ন ফ্লাইটের অবতরণ স্থান পরিবর্তন করা হয়েছে। সরিয়ে নেওয়া হয়েছে টার্মিনাল টু- এর বেশ কিছু ফ্লাইটও। পরিবর্তন হওয়া ফ্লাইটগুলো অবতরণ করছে জেবাল আলী'র আল মাকতুম ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট, শারজাহ ও রাস-আল-খাইমাহ এয়ারপোর্টে। এ পরিবর্তনের কারণে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা 'ফ্লাই দুবাই' অবতরণের স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে আল মাকতুম ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে। তবে ঢাকার ফ্লাইট পূর্বের স্থান তথা টার্মিনাল টু- তেই অবতরণ করবে।
স্থান পরিবর্তন সম্পর্কে ডানাটা ট্রাভেল'র কর্মকর্তা আলী আহসান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, রানওয়ে সংস্কারের জন্য আগামী তিনমাস প্রায় ৬০% ফ্লাইট দুবাই থেকে অন্যান্য বিভাগে স্থানান্তর করতে বলেছে দুবাই সরকার। এ জন্য কিছু ফ্লাইটের স্থান পরিবর্তন করে নেয়া হয়েছে আল মাকতুম ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট, শারজাহ ও রাস-আল-খাইমায়। বর্তমানে এয়ার অ্যারাবিয়া রাস-আল-খাইমা থেকে ঢাকাসহ ছয়টি দেশে যাতায়াত করছে। বাংলাদেশ বিমানকেও শারজাহতে পরিবর্তন এর কথা বলা হয়েছিলো। কিন্তু বিমান এর স্থান পরিবর্তন করতে হয়নি। তবে আল মাকতুম এয়ারপোর্ট দুবাইয়ের যাত্রীদের জন্য কিছুটা দূরে হয়ে যাওয়ায় বেশির ভাগ যাত্রীরা এখন শারজাহ এয়ারপোর্ট হয়েই যাচ্ছে।
নির্ধারিত তিনমাসের সময়সীমার মধ্যে সংস্কার কাজ শেষ হলে সব ফ্লাইট আগের অবস্থানে ফিরে আসতে পারে বলেও তিনি জানান।
বাংলাদেশ বিমান এর কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ আহসান হোসেন কাজী বাংলাদেশ প্রতিদিন কে জানান, রানওয়ে সংস্কার কাজ চললেও বাংলাদেশ বিমান এখনও অবতরণ করে টার্মিনাল ওয়ান- এ। আর বাংলাদেশ বিমানের সপ্তাহে পাঁচটা ফ্লাইট আগের মতোই আছে। তবে মঙ্গলবার এবং বুধবারের দুটি ফ্লাইটের সময় পরিবর্তন করে ৭.২০মিনিটে এবং ৬ টায় করা হয়েছে।
জানা গেছে, বাংলাদেশ বিমান নির্ধারিত সময়ে ফ্লাইট না দিতে পারায় প্রবাসী বাংলাদেশি যাত্রীরা অনেকেই 'ফ্লাই দুবাই' তেই যাতায়াত সুবিধা নিচ্ছে। বর্তমানে স্থান পরিবর্তনজনিত কারণে কিছুটা ঝামেলা পোহাতে হবে 'ফ্লাই দুবাই' এর চট্টগ্রামের যাত্রীদের। তবে বাংলাদেশ বিমানের নতুন ফ্লাইট চালু করায় যাত্রীদের বিমানের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে এবং বিমানের ফ্লাইট স্থান অপরিবর্তিত থাকায় যাত্রীদেরও জেবাল আলী যেতে হচ্ছে না। তবে জেবাল আলীস্থ এয়ারপোর্টের যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে আমিরাত সরকার আল মাকতুম এয়ারপোর্ট থেকে বাস সার্ভিস চালু করছে।