দেশে ফিরছে দুবাইয়ে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত চার বাংলাদেশির মধ্যে দু'জনের লাশ। মঙ্গলবার ভোর চারটায় এয়ার অ্যারাবিয়ার একটি ফ্লাইটে করে চাঁদপুরের আলমগীর (৩২) ও মাসুদ ঢালীর (২৪) লাশ শারজাহ এয়ারপোর্ট থেকে দেশে পাঠানোর কথা রয়েছে। ফ্লাইটটি মঙ্গলবার সকাল ১০.৪০ মিনিটে বাংলাদেশে পৌঁছবে।
জানা গেছে, গত ১০ মে দুবাইয়ের আমিরাত রুটে বাস-ট্রাকের সংঘর্ষে নিহতদের অনেকের চেহারা বিকৃত হয়ে যাওয়ায় তাত্ক্ষণিক লাশ সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে দুবাই পুলিশ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে লাশ সনাক্ত করার পর দুবাই বাংলাদেশ কনস্যুলেটের সহযোগিতায় ও কোম্পানি খরচে নিহতদের লাশ দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়। অন্যদিকে, আহতাবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি থাকা চারজনের মধ্যে আবু তাহের ও আব্দুল কাদের সুস্থ হয়ে ফিরেছে। তবে কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠলেও মোহাম্মদ মুজিব ও ইব্রাহিম মিয়াজী এখানো হাসপাতালে চিকিত্সাধীন রয়েছেন।
একই দূর্ঘটনায় নিহত চট্টগ্রামের বদরুল হাসানের লাশ দেশে পাঠানোর জন্য টিকেট বুকিংয়ের প্রক্রিয়া চলছে। আগামী দু' দিনের মধ্যে তার লাশও দেশে ফেরত পাঠানো সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন দুবাই কনস্যুলেটের প্রথম সচিব (শ্রম) এ কে এম মিজানুর রহমান।
তিনি জানান, আমরা লাশ দ্রুত দেশে পাঠানোর জন্য সর্বাত্বক চেষ্টা চালাচ্ছি। তবে সিলেটের ফ্লাইট জটিলতায় নজরুল ইসলামের লাশ পাঠাতে আরও কিছু সময় লেগে যেতে পারে। আশা করছি শুক্রবারের ফ্লাইটে তার লাশ পাঠানো সম্ভব হবে।
নিহতদের ক্ষতিপূরণের ব্যাপারে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি জানান, ক্ষতিপূরণের দায়িত্ব কোর্টের। যেহেতু দূর্ঘটনায় কবলিত বাসের ইনস্যুরেন্স করা ছিলো, সেহেতু কোন সমস্যা হবে না। এখানকার শরিয়া আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ দুই লক্ষ দিরহাম পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দেয়ার বিধান রয়েছে।
উল্লেখ্য, অন্য একটি দূর্ঘটনায় আমিরাতের শারজাহতে বিষাক্ত গ্যাসে নিহত চট্টগ্রামের মোহাম্মদ ইউছুফ ও খাগড়াছড়ির রবিউল হাসান ভূঁইয়ার লাশ চারদিন আগেই দেশে পাঠানো হয়েছে। কোম্পানির অর্থিক অবস্থা দূর্বল থাকায় নিহতদের লাশ দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করে দুবাই কনস্যুলেট।